করো'নার পর দেশের ক্রিকেট ফিরেছে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ দিয়ে। তারপর শুরু হয় ব'ঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। সদ্য শেষ হওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকে'টের অন্যতম আসর ব'ঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে। প্রায় এক মাসের এই জমজমাট আসরে জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটারদের বড় একটা অংশ।
অ'ভিজ্ঞতার দিক থেকে তরুণ হলেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন টি-২০ ফরম্যাটের এই আসরে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম কিংবা মেহেদির মত ক্রিকেটাররা।
তরুণ তুর্কিদের এই পারফরম্যান্স প্রত্যক্ষ করেছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমি'ঙ্গো নিজেও। শুধু হেড কোচই নয়, হাই পারফরম্যান্স দলের হেড কোচ টবি র্যাডফোর্ডের নজরেও আছেন এই তরুণরা।
গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের থেকেই হয়ত বাছাই করতে হবে আগামী প্রজন্মের সাকিব-তামিম'দের সেটা বেশ ভালোই জানেন হেড কোচ রাসেল ডোমি'ঙ্গো। তবে এই তরুণদের নিয়ে আরও বাড়তি কাজও করতে হবে সেটাও মাথায় রেখেছেন টাইগারদের কোচ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাসেল ডোমি'ঙ্গো জানিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক অ'ঙ্গনের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তাই এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের তৈরি করতে আরও সময়ের প্রয়োজন। তার ভাষ্য, ”ব'ঙ্গবন্ধু কাপে কিছু তরুণ সত্যিই খুব ভালো করেছে। শরিফুল দারুণ বোলিং করেছে। পারভেজ ইমন সেঞ্চুরি পেয়েছে।
তবে আমা'দের মাথায় রাখতে হবে, ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকে'টের মধ্যে অনেক পার্থক্য। তাদের তৈরি 'হতে সময় দেওয়ার ব্যাপারটা তাই খুবই গু'রুত্বপূর্ণ। যাতে করে তারা আন্তর্জাতিক অ'ঙ্গনে এসেই মানিয়ে নিতে পারে এবং শক্তিশালী এই দলটার স'ঙ্গে সমন্বয় করতে পারে।।”
অন্যদিকে হাই পারফরম্যান্স দলের হেড কোচ জানালেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য প্রস্তুত আছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তবে তাদের পরিচর্যা করাটা জরুরি। র্যাডফোর্ড বলেন, ”কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকে'টের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। কালই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে। কিন্তু তাদের আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ আছে। তাদের ফিট 'হতে হবে। কিছু টেকনিক্যাল বি'ষয় নিয়েও কাজ করতে হবে। তিন ফরম্যাটেই আ মর'া এখান থেকে টেকনিক্যালি ফিট ক্রিকেটার পাবো বলে আশা করছি।”
শতভাগ প্রস্তুত না করে আন্তর্জাতিক অ'ঙ্গনে ক্রিকেটারদের খেলতে দেয়া ঠিক না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ”পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার আগে তরুণদের আন্তর্জাতিক অ'ঙ্গনে আনা ঠিক নয়। দ্বিতীয় ব্যাপার হলো তাদের অনেকে কেবল বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করছে। কিন্তু জাতীয় দলে আনার আগে তাদের ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় কিভাবে পারফরম্যান্স করতে হয় সেটা শিখতে হবে।”