ল্যাতিন আমেরিকার জায়ান্ট আর্জেন্টিনা তাদের ইতিহাসে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৮ সালে নিজেদের মাঠে তারা বিশ্বকাপ জিতেছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপটি আর্জেন্টাইনদের কাছে ছিল খুব গর্বের বি'ষয়। তাদের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জয় বলে কথা। সেটাও আবার নিজেদের মাঠে, নিজেদের দর্শকদের সামনে।
কিন্তু আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও ছিল কলঙ্কিত এক ইতিহাস। যে ইতিহাস পরবর্তিতে প্রকাশ হওয়ার পর আর্জেন্টিনার ওই দলের কয়েকজন প্লেয়ারও পরবর্তিতে নিজেদের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বলে পরিচয় দিতে ল'জ্জা পেতেন।
বিশ্বকাপ হয়েছিল আর্জেন্টিনার মাটিতে। তখন আর্জেন্টিনার সা মর'িক সরকার ছিল ক্ষমতায়। কোন নকআউট পর্ব ছিল না। চারটি গ্রুপে ১৬টি দল অংশ নিয়েছিল।
এই ১৬টি দলের মধ্যে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ফাইনাল গ্রুপ স্টেজ। সেখানে দুটি গ্রুপে চারটি করে আট'টি দল অংশ নেয়। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল খেলবে ফাইনাল এমনটাই ছিল নিয়ম।
ফাইনাল রাউন্ডে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পেরু, পোল্যান্ড ছিল একই গ্রুপে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ব্রাজিল ফাইনালে যাব'ে অনেকেই সেটা ধরেই নিয়েছিল। কেননা, ব্রাজিলকে টপকে ফাইনালে যেতে চাইলে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচে পেরুকে হারাতে 'হত ৪ গোলের ব্যবধানে। অবিশ্বা'স্য হলেও সত্য যে সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতে ৬-০ গোলে। আর কোন ম্যাচ না হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা ও পেরুর এই ম্যাচটি ছিল ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়গু'লোর একটি। কথিত আছে পেরুর সাথে ম্যাচটি পাতানো ছিল আর্জেন্টিনার। এটা স্পষ্ট বুঝা যায় ম্যাচে পেরুর খেলোয়াড়দের আচরণের মাধ্যমে। তাদের সামনে দিয়ে বল গেলেও বাধা দেয়ার কোন চেষ্টা নেই। গোলকিপার অন্তত চারটি গোল কোন কঠিন পরীক্ষা ছাড়াই বাঁচাতে পারতেন।
শুধু তাই নয়, আ্র্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা যখন বল নিয়ে প্রবেশ করত তখন অনেকটা নিয়ম করেই লোক দেখানো নাটকের মাধ্যমে তারাই গোলের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
পরবর্তিতে পেরুর এক সংসদ সদস্য স্বীকার করেন ম্যাচটি পাতানোর কথা। পেরুরু ১৩ জন নাগরিক ছিল আর্জেন্টিনার জে'লে। তাদের মুক্তির বিনিময়ে পেরু ম্যাচটি হেরে যায়।
বিশ্বকাপে চার গোল করা আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড় লিওপোলদো পরবর্তিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমা'র নিজেকে এখন অ'পরাধী মনে হয়। এই বিশ্বকাপ জয়ে আমি স্বার্থকতার কিছু পাই না।