অ্যাশেজ আর উইন্ডিজ সফরে ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ড তাদের টেস্ট অধিনায়ক বদলে ফেলেছিল। বদলানো হয়েছে কোচ। তারপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজেই তাদের দুর্দান্ত সাফল্য! এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়। এটা টেস্ট ক্রিকে'টের অ'ভিজাত দল ইংল্যান্ডের গল্প।
যাদের স'ঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করাটাই বোকামি। তবে একটা জায়গায় তুলনা তো করা যেতেই পারে- নেতৃত্ব বদল।
বাংলাদেশও সম্প্রতি তাদের টেস্ট অধিনায়ক বদলেছে। মুমিনুল হকের জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে দুই দফায় তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছেন।
গতকাল থেকে শুরু হওয়া উইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই তৃতীয় দফায় সাকিবের নেতৃত্বকাল শুরু হলো। শুরুটা এত জঘন্য হবে, সেটা কি দুঃস্বপ্নেও ভেবেছিলেন সাকিব? অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার ‘ডাক’ মা'রেন! যা রেকর্ড বটে। ৬ জনের তিনজন আবার টপ অর্ডার ব্যাটার। একজন মিডল অর্ডারে খেলেন।
সাকিবের ৫১ রান আর তামিমের ২৯ রানের সৌজন্যে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত একশ পার হয়েছে। আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তো আর ইংল্যান্ড নয় যে অধিনায়ক বদলে ফেললে দলের পারফর্মেন্সও বদলে যাব'ে! টেস্ট ক্রিকে'টের সবচেয়ে অ'পেশাদার দলের একটি হলো বাংলাদেশ। ব্যাটারদের মাঝে টেস্ট খেলার মানসিকতাই নেই। নাহলে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে তারা ক্যাচ দেওয়ার মতো শিশুতোষ ভুল তারা প্রতি ম্যাচেই করে যাব'েন কেন?
এই মানসিকতা বদলাবে কে? মানসিকতা বদলানোর ওষুধ কী? অধিনায়ক তো আর সবার খেলা একাই খেলে দেবেন না। তাহলে দলে ১১ জনের কোনো প্রয়োজনই নেই!