ক্রিকেট ইতিহাসের কিংবদন্তি স্পিনার মুথাইয়া মুরালিধরণ মোট ৫ বার আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর দুবার ফাইনালে উঠলেও পরাজিত হয় শ্রীলঙ্কা দল। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ
একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও তার বিদায়ী ম্যাচটি শেষ হয়েছিল খুবই দুঃখজনক ভাবে। পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুথাইয়া মুরালিধরন ৪০ ম্যাচে ৬৮টি উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে তার দল দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
তিনি অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৫টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন যার মধ্যে টানা তিনবার বিজয়ী দলের সদস্য হন। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি অ'পরাজিত ১৪০ রানের ইনিংস খেলে ভারতীয় বোলারদের বিধ্বস্ত করেছিলেন।
রিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে রিকি পন্টিং ৪৬ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরিসহ ১৭৪৩ রান করেছেন।পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। যিনি পাকিস্তানের হয়ে মোট ৬টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ফাইনাল ম্যাচে তিনি ৫৮ রানের একটি গু'রুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। পরিসংখ্যান বলছে, জাভেদ মিয়াঁদাদ ৩৩ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিসহ ১০৮৩ রান করেছেন।
ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকার ১৯৯২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সমস্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ ফর্মে থাকা শচীন ভারতীয় দলকে একাই ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এই টুর্নামেন্টে শচীনের ব্যাট থেকে এসেছিল মোট ৬৭৩ রান, ফলে তিনি ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয়েছিলেন। অবশেষে ২০১১ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট জিতে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, শচীন টেন্ডুলকার ৪৫ ম্যাচে ৬টি সেঞ্চুরিসহ ২২৭৮ রান করেছেন