ভারতের সব রাজ্যে না হলেও কয়েকটি রাজ্যে ফুটবল নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই। বাংলা, কেরালা, গোয়া হলো ৩ ফুটবল আগ্রহীদের রাজ্য। এই রাজ্যগু'লির ফুটবল দলগু'লি যখনই মাঠে নামে তখন তাদের স মর'্থকদের অভাব হয় না।
শুধুমাত্র যে দেশের ফুটবলের মধ্যেই এই ফুটবলপ্রেমীদের ফুটবল প্রেম আট'কে আছে, তা নয়। ইউরোপিয়ান ফুটবলের ক্রেজও পেয়ে বসে এই সমস্ত স মর'্থকদের।
আর বিশ্বকাপের সময় সেই ফুটবলপ্রেম তো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে বাংলার দুই ফুটবলপ্রেমী, এমন ঘটনাও বিরল নয়।
এমন অনেক উৎসাহী ফুটবলপ্রেমী রয়েছেন যারা ৪ বছর ধরে অধীর আগ্রহের স'ঙ্গে পয়সা সঞ্চয় করেন যাতে ওই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপের দর্শকাসনে বসতে পারেন। কিন্তু তাদের জন্য এবার দুঃসংবাদ।
কারণ সম্ভবত কাতার বিশ্বকাপে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের দর্শকাসনে বসতে দেওয়া হবে না। বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা'র ইসলাম ধ'র্মগু'রু হজরত মহম্ম'দকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে এবার কাতার বিশ্বকাপে হয়তো বিপাকে পড়তে 'হতে পারে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের।
হয়তো ভারতীয়দের ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য টিকিট দেওয়াই নি'ষি'দ্ধ করে দেওয়া হবে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগু'লিতে ওই মন্তব্যের বাজে প্রভাব পড়েছে। কাতার থেকে ভারত সরকারের কাছে একটি প্রকাশ্য ক্ষ'মাপত্র দাবি করা হয়েছে।
চাপে পড়ে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে নুপুর শর্মা। কিন্তু বিজেপির এই দলীয় সি'দ্ধান্তে বরফ গলেনি। তার প্রমাণ মিলেছে এক ভারতীয় ফুটবলপ্রেমী কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বুক করতে গেলে। তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয়দের বুকিং দেওয়া হবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কাতার।
নুপুর শর্মা'র ওই বক্তব্যে শুধু কাতার নয়, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগু'লিও সরব হয়েছে। সকলেরই দাবি যে প্রকাশ্যে ক্ষ'মা চাইতে হবে নূপুরকে।
এর মধ্যে একাধিক ভুয়ো খবরও রটেছে, দুই পক্ষের স মর'্থকরাই তীব্রভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ'পরপক্ষের বিরু'দ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। মাঝখান থেকে বেকায়দায় ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা।