আইপিএলের আগে আলোচনাটা শুরু হয়েছিল। আইপিএলজুড়ে চলেছে এই আলোচনা। আইপিএল শেষ হয়েছে, আলোচনা থামেনি এখনো। বি'ষয়বস্তু বিরাট কোহলি ও তাঁর ফর্ম।
ভারত দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন, ছেড়েছেন আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বে'ঙ্গালুরুরও দায়িত্ব। এত নির্ভার হয়েও ফর্মের দেখা পাচ্ছেন না কোহলি, ব্যাটে ফিরছে না পুরোনো ছন্দ।
এ প্রস'ঙ্গে অনেকেই তাঁদের মত দিয়েছেন। রবি শাস্ত্রী বলেছেন কোহলির কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত। আবার সুনীল গাভাস্কারের মতো অনেকেই বলেছেন,
বিশ্রাম নেওয়ার কিছু নেই, খেলতে খেলতেই ফর্ম ফিরে পাবেন কোহলি। রিকি পন্টিং এগিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে। তাঁর ধারণা, ক্লান্ত যে হয়ে পড়েছেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না কোহলি।
আইপিএলের পর আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছে গেছে ভারত।
সে সিরিজের দলে অবশ্য নেই কোহলি ও বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোহলিকে নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও আইপিএলে ধুঁকেছেন রোহিতও। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে দলের মূল দুই ব্যাটসম্যানকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
রোহিতের ফর্মহীনতা শুধু আইপিএলেই সীমাব'দ্ধ। কিন্তু কোহলির রানখরা তো চলছে বহুদিন ধরে। যেকোনো সংস্করণে কোহলিকে সর্বশেষ শতক পেতে দেখা গেছে দুই বছর আগে। ভাবা হয়েছিল, আইপিএলে অধিনায়কত্বের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে ফর্মে ফিরবেন কোহলি।
কিন্তু এবারের আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ২২.৭৩ গড়ে ৩৪১ রান করেছেন কোহলি। শুধু গু'জরাট টাইটানসের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংসেই ফর্মে ফেরার ই'ঙ্গিত মিলেছিল। তার আগে-পরে 'হতাশই করেছেন কোহলি।
আইসিসি রিভিউতে কোহলির ফর্ম হারিয়ে ফেলার ব্যাখ্যায় পন্টিং ক্লান্তির কথাই বলেছেন, ‘কোনো না কোনো সময় সবারই এমন সময় যায়। ১০ বা ১২ বছরের মধ্যে খুব কম খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে বিরাট।
কিন্তু আইপিএল চলার সময় সে কতটা ক্লান্ত, তা নিয়ে অনেক বেশি কথা হয়েছে। এটা তো ওকেই বুঝতে হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে উন্নতি করা যায়। এটা কি টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা নাকি মানসিক সমস্যা।’
২০১৯ সালে সর্বশেষ শতক পাওয়া কোহলিকে নিয়ে পন্টিং তাই খুব বেশি চিন্তিত নন। শতক না পেলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতক তাঁর।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি রানও তাঁর। নিজেকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে ফেলাতেই বর্তমানে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পন্টিংয়ের ধারণা, এতটা ভালো খেলে কোহলি ক্লান্ত হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু নিজেই বুঝতে পারছেন না যে ক্লান্ত হচ্ছেন। নিজেকেই নিজে ভুল বোঝাচ্ছেন, ‘আমি অ'ভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একজন খেলোয়াড় হিসেবে আ মর'া নিজেদের নিজেরাই ভুল বোঝাই। বলি, আমি ক্লান্ত নই।
আমি শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্লান্ত নই। আপনি কোনো না কোনোভাবে অনুশীলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন, ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না থামছেন এবং কয়েক দিন ছুটি পাচ্ছেন, ততক্ষণ বুঝবেন না আপনি কতটা ক্লান্ত ছিলেন এবং কতটা শ্রান্ত আপনি।’