ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অ'ভিষেক বছরে আলো ছড়ানো চেতন সাকারিয়াকে দলে পেতে বড় অঙ্ক খরচ করে দিল্লী ক্যাপিটালস। তবে ১৫তম মৌসুমের বেশিরভাগ অংশে বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় বাঁহাতি এই পেসারকে। আর যেসব ম্যাচে সুযোগ মিলেছিল তাতেও ছিল না আশানুরুপ পারফরম্যান্স।
এক বছরের মাথায় মুদ্রা এপিঠ-ওপিঠ দেখে ফেলা সাকারিয়া তাই সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে 'হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি এই তরুনের 'হতাশা এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল দিল্লীর সবার স'ঙ্গে কথাও বন্ধ করে দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
অনুশীলন ছাড়া বাকি সময় একাই থাকতেন সাকারিয়া। একটি সাক্ষাৎকারে দিল্লীর এই পেসার বলেন, ‘দিল্লি কেনার পর ভেবেছিলাম খেলার সুযোগ পাব। সব ম্যাচ খেলব বলেই মনে হয়েছিল। প্রথম দিকে সুযোগ না পেয়ে 'হতাশ হইনি। কিন্তু টানা সুযোগ না পেয়ে আ'ত্মবিশ্বা'স কমতে শুরু করে। নিজেকে নিয়ে নিজেরই সংশয় তৈরি হয়। নিজেকে গু'টিয়ে রাখতাম।’
সাকারিয়ার দলে প্রধান কোচ ছিলেন রিকি পন্টিং। বাঁহাতি এই পেসার যখন 'হতাশায় ডুবে ছিলেন সে সময় তাকে সাহস দিতেন পন্টিং। শুধু অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক একাই নন,কোচ শেন ওয়াটসনই তাঁর আ'ত্মবিশ্বা'স ফেরান বলে জানিয়েছেন সাকারিয়া
সাকারিয়ার ভাষ্যমতে, ‘রিকি স্যর সব জানতেন। উনি সব সময় নিজেই এসে আমা'র স'ঙ্গে কথা বলতেন। বার বার বোঝাতেন 'হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সুযোগ আসবেই। বলেছিলেন, ‘তুমি যদি সত্যিই খেলোয়াড় হও, তা হলে সুযোগের অ'পেক্ষা কর। সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা দেবে।’ কোচ সব সময় আমাকে উৎসাহ দিতেন।’
‘ওয়াটসন স্যর বুঝতে পেরেছিলেন, আমা'র আ'ত্মবিশ্বা'সে ঘাটতি আছে। অনুশীলনে আমা'র দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতেন। উনি এক দিন নিজের ঘরে ডেকে অনেক কথা বলেন। লেংথ-সহ বোলিংয়ের অনেক কিছু বোঝান। ওঁর কথা খুব কাজে দিয়েছে।’