গোলের খেলা ফুটবল। তাই বলে এক ম্যাচে এক দলেরই ৫৯ গোল! চোখ কপালে তোলার আগে যখন জানবেন, গোলগু'লোর ৪১টিই আ'ত্মঘা'তী, তখন নিঃসংকোচে ভেবে নেওয়ায় যায় ম্যাচ পাতানো হয়েছে। কোনও প্রকার ত'দন্তের প্রয়োজন পড়ে না এজন্য। তবে নিয়ম মেনে দক্ষিণ আফ্রিকান লিগের এই ঘটনায় ত'দন্ত হয়েছে। ম্যাচ পাতানোর মা'রাত্মক অ'পরাধে শাস্তিটাও হয়েছে কঠোর। শোনানো হয়েছে আজীবন নিষে'ধাজ্ঞার শাস্তি।
এক দলের দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বিভাগের উঠতে ১৮ গোলের ব্যবধানে জয় প্রয়োজন ছিল। অসাধ্য এই কাজটিই শুধু করেনি তারা, দলটি জিতেছে ৫৯-১ গোলে! তাদের প্রতিপক্ষ করেছে ৪১টি আ'ত্মঘা'তী গোল! বলার অ'পেক্ষা রাখে না ম্যাচটি পাতানো হয়েছে। বিশাল ব্যবধানে জয়ী দলটির নাম মাতিয়াসি এফসি। আর একের পর এক নিজেদের জালে বল জড়ানো দলটি এনসামি মিগটি বার্ডস।
মাতিয়াসির দ্বিতীয় বিভাগে উঠতে সেরা দুইয়ে থাকা প্রয়োজন ছিল। এজন্য মেলাতে 'হতো কঠিন সমীকরণ। গোল ব্যবধানের সেই সমীকরণ মেলাতে প্রতিপক্ষকে হারাতে 'হতো ১৮ গোলের ব্যবধানে। তবে এনসামি বার্ডস তাদের হয়ে খেলে দিয়েছে। ৪১টি আ'ত্মঘা'তী গোল করে ৫৯-১ গোলে হেরে যায় তারা। পরিষ্কার চোখে ধ’রা পড়ে পাতানো হয়েছে ম্যাচ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল কর্তৃপক্ষ ত'দন্ত করে নিশ্চিত হয় বি'ষয়টি। যার শাস্তি হিসেবে দুই দলকেই আজীবন নি'ষি'দ্ধ করা হয়েছে ফুটবল থেকে।
শুধু ওই ম্যাচ নয়, দ্বিতীয় বিভাগে ওঠার সম্ভাবনা থাকা আরেকটি ম্যাচও পাতানো হয়েছে। শিভুলানি ডেঞ্জারাস টাইগার্স ও মাতিয়াসির পয়েন্ট ছিল সমান। তবে টাইগার্স গোল ব্যবধানে কিছুটা ভালো অবস্থানে ছিল। যদিও কোতোতো হ্যাপি বয়েজের বিপক্ষে তারা জেতে ৩৩-১ গোলে। যেখানে প্রতিপক্ষের আ'ত্মঘা'তী গোল ৭টি। এই দুই ক্লাবকেও আজীবন নি'ষি'দ্ধ করা হয়েছে।