টানা অ'পরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে কী দুর্দান্ত ফুটবল খেলেই না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছিল ইতালি। কিন্তু হুট করেই যেন নিভে গেল দলটি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব উতরাতে ব্যর্থ হয়।
এরপর আগের রাতে ফিনালিসিমাতেও সাদামাটা দলটি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সে অর্থে লড়াইটাও করতে পারেনি তারা। ম্যাচ শেষে তার সরল স্বীকারোক্তিই দিয়েছেন ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি।
বুধবার রাতে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কো'পা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইউরোর শিরোপাধারী ইতালিকে।
প্রথমা'র্ধেই ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ল্যাতিন আমেরিকার দলটি। লক্ষ্যভেদ করেন লাউতারো মা'র্তিনেজ ও আনহেল দি মা'রিয়া। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের এক চেটিয়া ফুটবলের পর শেষদিকে বদলি নামা পাওলো দিবালা বাড়ান জয়ের ব্যবধান।
গোল হজমের পরই ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে তো সুযোগই পায়নি তারা। গোলরক্ষক জিয়ানলজুইজি দোনারুমা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ব্যবধান 'হতে পারতো আরও অনেক বড়।
দ্বিতীয়ার্ধে আ'ক্রমণে যাওয়ার তেমন চেষ্টাও চালায়নি তারা। দলের এমন নীরব আ'ত্মস মর'্পণে রীতিমতো বিধ্বস্ত ইতালিয়ান কোচ, ‘প্রথমা'র্ধে আ মর'া দুই গোলের সময় দুটি ভুল করলেও ম্যাচে ভারসাম্য ছিল।
এরপর তারা বল ধরে রাখে এবং ম্যাচকে ভালোভাবে ঘোরাতে পারে। তারা আমা'দের চেয়ে ভালো ছিল।’ প্রথমা'র্ধে অবশ্য বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল ইতালি।
কয়েকবারই তখন পরীক্ষা দিতে হয়েছে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মা'র্তিনেজকে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বলে মনে করেন মানচিনি,
‘আমা'দের ম্যাচটিকে উন্মুক্ত করে গোল করতে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আ মর'া এটা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য খুব কমই করেছি। প্রথমা'র্ধে আমা'দের সুযোগ ছিল এবং সেখান থেকে আরও বেশি করে নেওয়া উচিত ছিল।’
মূলত গোল গোল হজম করার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের পরিস্থিতি। নিজেদের ভুলটাও বড় করে দেখছেন মানচিনি। তবে প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি এ কোচ,
‘আজ সন্ধ্যায় যতক্ষণ না তারা গোল করে ততক্ষণ ম্যাচটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ছিল, এরপর আর্জেন্টিনা যা খেলেছে তাতে তারা জয়ের দাবিদার ছিল। এটা দুঃখজনক যে দুটি গোল এসেছে আমা'দের ত্রুটি থেকে।’