আর্জেন্টিনা দুটি শিরোপা জিতেছে কাছাকাছি সময়ে। কো'পা আমেরিকার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জিতেছে মেসিরা। টানা জয়ের হিসেবেও দুর্দান্ত দলটি। এত কিছুর পরও মাটিতে পা রাখছেন লিওনেল মেসি। সাফল্য পেলেও নিজেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে মানতে নারাজ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও তারকা।
গত বছর ব্রাজিলের মাটিতে অনুষ্ঠিত কো'পা আমেরিকাতে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই সাথে দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কা'টায় ল্যাটিন আমেরিকার জায়ান্টরা। ফাইনালিসিমাতে লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যদের প্রতিপক্ষ ছিল সবশেষ ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, ইউরোর চ্যাম্পিয়ন দল ইতালি।
দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন দলের লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটিকে ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ইউরোপের দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা কেমন করে সেটা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। অবশেষে মেসি, ডি মা'রিয়া, মা'র্টিনেজরা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাঠের দাপুটে পারফরম্যান্সে। গতকাল দিবাগত রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গড়েছেন ইতিহাস।
ফাইনালিসিমাতে ইতালিকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচজুড়ে তাদের অসাধারণ ফুটবলশৈলীর কাছে বিবর্ণ ছিল আজ্জুরিরা। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা আর্জেন্টিনার হয়ে একটি করে গোল করেন মা'র্টিনেজ, ডি মা'রিয়া ও পাওলো দিবালা।
ফাইনালিসিমাতে গোলের দেখা পাননি মেসি। পিএসজির এই ফরোয়ার্ডের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। নিজে না পারলেও সতীর্থকে দিয়ে দুটি গোল করিয়েছেন মেসি। মা'র্টিনেজ ও দিবালা তিন কাঠির নিচে বল পাঠিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর অ্যাসিস্ট থেকে।
ম্যাচশেষ মেসি বলেন, ‘জয় নিয়ে শেষ করতে পারাটা অনেক সুন্দর। আর্জেন্টিনার এই দলটা সুখ আর আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারে। দলের সান্নিধ্যে আসলে আমি এমনটা অনুভব করি। আ মর'া আরো একটি ভালো ম্যাচ খেলেছি। আমা'দের উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এটাই করতে চাই। মনে রাখা জরুরি, আ মর'া বিশ্বসেরা নই।’
প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন, নিজেদের শক্তিতে বিশ্বা'সী মেসি, ‘আমি জানি না, আসন্ন বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির জন্য এই ম্যাচটা আমা'দের দরকার ছিল কি-না। আ মর'া আমা'দের যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা রাখি। কোন দলের বিপক্ষে খেলছি বা প্রতিপক্ষ কারা' সেটা পরোয়া করি না। প্রতি ম্যাচে আ মর'া একই রকম ফুটবল খেলি। তবে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটা একটা পরীক্ষা ছিল। কারণ ওরা দুর্দান্ত দল।’