এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং আ'ক্রমণের সেরা অ'স্ত্র ভাবা হচ্ছিল মোস্তাফিজুর রহমানকে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যানরিচ নরকিয়া চোট কাটিয়ে ফেরার পরই বাদ দেওয়া হয় বাংলাদেশি পেসারকে। গত দুই ম্যাচ মোস্তাফিজকে ছাড়াই খেলেছে দিল্লি।
প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ব্যাটাররা ২০৭ রানের বড় সংগ্রহ এনে দিলে বোলারদের কাজ কঠিন ছিল না। তারপরও মাত্র ২১ রানের জয় পায় দিল্লি। আর গত ম্যাচে তারা চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে।
এই ম্যাচে মোস্তাফিজবিহীন বোলিং আ'ক্রমণকে তুলোধুনো করে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৭ রানেই গু'টিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এবার চোখ বুলানো যাক নরকিয়ার পারফরম্যান্সের দিকে। যিনি ফিট হয়ে দলে আসাতেই মূলত বাদ দেওয়া হয় মোস্তাফিজকে।
প্রোটিয়া এই পেসার কি মোস্তাফিজের চেয়ে আ হা' মর'ি কোনো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন? স্কোরকার্ডে চোখ বুলালে দেখা যাব'ে আ হা' মর'ি তো নয়ই, বরং গত দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাই বোলিং করেছেন নরকিয়া। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পান মাত্র একটি উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট পেলেও চার ওভারে খরচ করেন ৪২ রান। অর্থাৎ দুই ম্যাচে ৮ ওভারে ৭৭ রান দিয়েছেন নরকিয়া। যা বেশ ব্যয়বহুলই। বলা বাহুল্য, চোট নিয়ে মাঝে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন প্রোটিয়া পেসার। সেই ম্যাচেও ২.২ ওভার বল করে দেন ৩৫ রান।
অন্যদিকে মোস্তাফিজ নিজের সর্বশেষ ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৭ দিলেও তার ঠিক আগের ম্যাচেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দিল্লির জয়ের অন্যতম কুশীলব ছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে কা'টার মাস্টার নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এবারের আইপিএলে ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতেই নিজের ৪ ওভারের কোটায় ত্রিশের নিচে রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ।
তার চেয়ে বড় কথা, ডেথ ওভারে দলকে গু'রুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া কিংবা রান আট'কে রাখার কাজটি ভালোভাবেই করতে পেরেছেন বাঁহাতি পেসার। তারপরও মোস্তাফিজ নয়, চোট কাটিয়ে আসা নরকিয়ার ওপর ভরসা রেখেছে দিল্লি টিম ম্যানেজম্যান্ট। শুধু কি গায়ের ওপর ‘প্রোটিয়া’ ট্যাগ আছে বলেই?