বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরমেটে তিন অধিনায়ক। খুব ভালোভাবেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তার নেতৃত্বে বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে টাইগাররা।
তবে মুদ্রার উল্টো পিঠে রয়েছে টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে টেস্ট ক্রিকে'টে বরাবরই বাংলাদেশ দুর্বল সেটা অনেকেই মনে করেন কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকে'টে বাংলাদেশের 'হতাশাজনক পারফরম্যান্স মেনে নিতে পারেন না ক্রিকেট ভক্তরা।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে তার কথা নিয়ে চারিদিকে হয়েছে নানা সমালোচনা। তবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হাসান পাপন জানিয়েছেন, “আমা'র জানা মতে, টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদ খুবই ভালো করছে, অ্যাজ আ ক্যাপ্টেন। নেতৃত্ব এক জিনিস, খেলা আরেক জিনিস। ওর নেতৃত্বে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। টি-টোয়েন্টিতে আমা'দের নতুন কিছু ক্রিকেটার দরকার”।
“বিশ্বকাপের আগে আমা'দের ১৬টা খেলা আছে, অনুশীলন ম্যাচও আছে। এখন আপনি যদি মনে করেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলে যাব'ে সবগু'লো, ওয়ানডে খেলবে, সবগু'লো বিশ্বকাপও খেলবে, আবার টি-টোয়েন্টিও খেলবে সবগু'লো, ওদের উপর তো চাপ 'হতেই পারে। এটা আমা'দের বুঝতে হবে।”
তবে প্রতিটি ফরমাটের জন্য আলাদা কিছু ক্রিকেটার তৈরি করতে চান তিনি। বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপর থেকে চাপ কমাতে চান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি আরো বলেন, “আ মর'া আশা করি, আ মর'া চাই আমা'দের দেশের জন্য, দলের জন্য যাকে যে ফরম্যাটে দরকার, ওরা ওটাতে থাকুক। এটাই যদি ওদের সি'দ্ধান্ত হয়, তাহলে আমা'দের জন্য খুব ভাল।
“হারা-জেতা নিয়ে আমি একেবারই চিন্তিত নই। কারণ আ মর'া একটা জিনিস করতে পেরেছি, আ মর'া সবাইকে হারাতে পারি, অন্তত ওয়ানডেতে। ওয়ানডেতে পারলে অন্য ফরম্যাটেও পারব। সেটার জন্য আমা'দের অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে, কাজ করতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে, এবং সেটাই আ মর'া করছি।”