করো'না পরবর্তী সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে ক্রিকেটারদের মানসিক ক্লান্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। সেই সাথে খেলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমলে নিতে হয়েছে শারীরিক ধকলের বি'ষয়টিও।
এরই ধা'রাবাহিকতায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটাররা চাইলে ফরম্যাট বেছে বেছে খেলতে পারেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান খেলছেন না টেস্ট। একইভাবে তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি খেলছেন না, আবার সাকিব আল হাসান প্রায়শই বিশ্রাম নিচ্ছেন যেকোনো ফরম্যাটে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো টেস্ট থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেছেন।
তবে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, ফরম্যাট বেছে বেছে খেলার এই সুযোগ শুধু সিনিয়র ক্রিকেটারদের। অর্থাৎ, মুস্তাফিজুর রহমান বা লিটন দাসের পর্যায়ের ক্রিকেটাররা তিন ফরম্যাটেই খেলতে বাধ্য, তাদের ইচ্ছাধীন ফরম্যাট বেছে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুজন বলেন, পাপন ভাই বলেছিলেন খেলোয়াড়রা কে কোন ফরম্যাট খেলতে চায় এ নিয়ে আলাপ করতে পারে।
সেটা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে কথাটা বলেছেন, সবার ক্ষেত্রে না। এখন যদি জয় বলে আমি ওয়ানডে খেলব আর টেস্ট খেলব না, এটা কি ঠিক হল নাকি? বোর্ড যদি তাই মুস্তাফিজকে টেস্টে চায় তাহলে মুস্তাফিজ টেস্ট খেলতে বাধ্য। সুজন জানান, এটা বোর্ডই নির্ধারণ করবে, কাকে কোথায় খেলতে হবে। আপনি কি অফিসে বলতে পারেন- আমি এই কাজ করব না, ঐ কাজ করব?
আপনি এখানে কর্মী, আপনি কীভাবে বেছে নেবেন? সভাপতি বলেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। ফরম্যাট বেছে খেলার জন্য সাকিব, তামিম, মুশফিকরা দীর্ঘদিন দেশকে সার্ভিস দিয়েছেন, এভাবেই অর্জন করেছেন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত গগনে বেছে বেছে খেলার যোগ্যতা- এমনটিই বললেন এই বোর্ড পরিচালক। তার ভাষায়, সাকিব-তামিম'দের বয়স ৩৪-৩৫। তাদের এখন বিরতি প্রয়োজন, তারা এটার যোগ্য।
কিন্তু লিটন দাস তো বিশ্রামের যোগ্য না। লিটন যদি সাকিব-তামিম 'হত, বলতাম সেও বিশ্রামের যোগ্য। মুস্তাফিজের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিৎ। এখন তার পিক টাইম। সুজন তাই দৃঢ়কণ্ঠে জানালেন, চার সিনিয়র ক্রিকেটার বাদে বাকিদের সুযোগ নেই ফরম্যাট বেছে নেওয়া।
তিনি বলেন, এখানে বাকবিতণ্ডার কিছু নেই। তবে আমা'র মনে হয় না খেলোয়াড়রা বলবে এই ফরম্যাট খেলবো, এই ফরম্যাট খেলব না। আপনি তামিম সাকিব হলে বি'ষয়টা শোভা পায়। মুস্তাফিজের এটা বলা শোভা পায় না।