সব চেষ্টা ব্যর্থ করে, সব ভালোবাসাকে ছিন'্ন করে চলে গেছেন ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেল। দেশের হয়ে পাঁচটি ওয়ানডে খেলা মোশাররফ রুবেলের মস্তিষ্কে টিউমা'র ধ’রা পড়ে ২০১৯ সালের মা'র্চে। এরপর সি'ঙ্গাপুরে গিয়ে অ'স্ত্রোপচার করিয়ে সেই টিউমা'র অ'পসারণও করা হয়েছিল। মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
আজ (শুক্রবার) সংবাদমাধ্যমকে চৈতি বলেন, ‘রুবেলের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেটাকে ভালো ক্রিকেটার বানানোর। আমি সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করব একজন ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করার। মেয়র বলেছেন, পারিবারিক অ'ভিভাবক হিসেবে উনি থাকবেন সবসময়। আ মর'া হয়ত বিসিবিকেও পাশে পাব।’
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের স'ঙ্গে লড়ছিলেন ক্রিকেটার রুবেল। শেষ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মাঝে তার মৃ'ত্যুর গু'জব ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই খবর ভুল প্রমাণ করে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন রুবেল।
কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল আর শেষ রক্ষা হলো না। মৃ'ত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। রুবেলের নিথর দে'হ সমাহিত হয়েছে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কবরের স্থায়িত্ব দুই বছর। স্থায়ী করতে হলে এক কোটি টাকার প্রয়োজন।
রুবেলের মৃ'ত্যুর পর তার পরিবারের ইচ্ছে ছিল, রুবেলের কবরটা যেন স্থায়ী হয়। মেয়র আতিকুল রুবেলের কবরকে স্থায়ীকরণের অনুমোদন দিয়েছেন। বিদেশ থেকে ফিরে আতিকুল আজ রুবেলের বাসায় যান তার পরিবারের স'ঙ্গে দেখা করতে।
সেখানে মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে চৈতি বললেন, ‘মাননীয় মেয়রের কাছে আমি অসম্ভব রকমের কৃতজ্ঞ। রুবেল মা'রা যাওয়ার পর আসলে আমা'র একটাই চাওয়া ছিল। আমা'র আর কোনো চাওয়া নেই। রুবেলকে যেন আ মর'া দেখতে পারি। তার শরীরটা তো ওখানেই আছে। আ মর'া পুরো পরিবার মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’