ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে এমন দাপুটে পেস বোলিং শেষ কবে দেখা গিয়েছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে মনে করা কঠিন।
উপমহাদেশের বাইশগজে বল হাতে এমন আগু'ন। জম্মু-কাশ্মীরের উড়তি পেসার উ মর'ান মালিক রীতিমতো উড়ছেন। আর তাঁর আগু'নে বোলিং ওয়াংখেড়ের গ্যালারির সাথে পাগল বনে গেলেন কোটিভক্ত।
আক্ষরিক অর্থেই বাইশগজে আগু'ন ঝরালেন উ মর'ান। লকি ফার্গু'সনের মতো মহাতারকাকে যেভাবে পরপর চার-ছক্কায় হে'নস্থা 'হতে হয়, তার পরে উ মর'ানের এমন বোলিংকে কুর্নিশ জানানো ছাড়া উপায় নেই।
বোলারদের হাতে পর্যাপ্ত রসদ তুলে দিতে পেরেছিলেন সানরাইজার্সের ব্যাটসম্যানরা। তবে ঋ'দ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল যেভাবে গু'জরাট ইনিংসের শুরু করেন, তাতে বড় রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা অতি সহজ দেখাচ্ছিল। এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচে উ মর'ান একাই ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে বাকিরা তাঁকে স মর'্থন করতে পারেননি এতটুকু।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন উ মর'ান। সেই ওভারের চতুর্থ বলে (৭.৪ ওভার) তিনি বোল্ড করেন শুভমন গিলকে। এক্ষেত্রে অফ-স্টাম্পের লাইনে ১৪৪ কিটোমিটার প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারি অযথা লেগ সাইডে সরে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন গিল। ব্যাটসম্যানের ভুলের সুযোগ নিয়ে উ মর'ান স্টাম্প ছিটকে দিতে ভুল করেননি।
ইনিংসের দশম ওভারে উ মর'ান দ্বিতীয়বার বল করতে আসেন। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়ার উইকেট। ৯.২ ওভারে ক্যাপ্টেনের পরিকল্পনা মতোই শর্ট পিচড ডেলিভারিতে হার্দিককে পরাস্ত করেন উ মর'ান।
ওভার তিনেক পরে ফের আ'ক্রমণে আসেন উ মর'ান এবং ফের উইকেট এনে দেন দলকে। ১৩.২ ওভারে ঋ'দ্ধিমান সাহাকে ১৫৩ কিলোমিটারের ইয়র্কারে বোল্ড করেন তিনি।
আর নিজের শেষ ওভারে উ মর'ান আর ২টি উইকেট তুলে নেন। ১৫.৫ ওভারে ১৪৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বলে তিনি বোল্ড করেন ডেভিড মিলারকে। ১৫.৬ ওভারে ১৪৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারিতে উ মর'ান ছিটকে দেন অ'ভিনব মনোহরের স্টাম্প। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন মালিক। চারজন ব্যাটসম্যানকে তিনি বোল্ড করেন, যার মধ্যে ঋ'দ্ধিমান সাহার উইকেটটি ছিল নিঃসন্দে'হে সেরা।
যদিও উ মর'ানের এমন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পরেও সানরাইজার্স ম্যাচ হেরে বসে। ফলে ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থেকে যেতে হয় তাঁকে।