আইপিএল মাতিয়ে চলেছেন উ মর'ান মালিক। তার গতির ঝড় আর আঁটসাঁট বোলিংয়ে বেকায়দায় পড়ছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা।
যদিও দরিদ্র ঘরের উ মর'ানের উঠে আসাটা সহজ ছিল না। তার পথচলা সুগম করে তুলেছিল সবজি বিক্রেতা বাবা আর গ'র্ভধারিণী মায়ের অকুণ্ঠ স মর'্থন। ২২ বছর বয়সী পেসারের উত্থানকে রূপকথার গল্প মনে হলেও এর পেছনে জড়িয়ে আছে একাগ্রতা আর পরিবারের স মর'্থন।
তবে পাকিস্তান দাবি করছে, উ মর'ান মালিকের উঠে আসার পেছনে অবদান আছে তাদেরও। নিয়মিত ১৪৫-১৫০ কিমি/ঘণ্টায় আইপিএলে বল করে যাচ্ছেন উ মর'ান।
পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের মালিক সামিন রানা দাবি করেন, ২০১৮ সালে হ্যারিস রউফকে নিলামে কিনে নেয় লাহোর, তখনো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার কোনো অ'ভিজ্ঞতাই ছিল না রউফের। কিন্তু পিএসএলের পর রউফের সাফল্য আসতে দেরি হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকে'টে রউফের অ'ভিষেক তার এক বছর পর, আর ২০২০ সালে গায়ে ওঠে পাকিস্তানের জার্সি।
উ মর'ানের ক্ষেত্রে গল্পটা কী হবে, সেটি বলবে ভবি'ষ্যৎ। তবে এখন পর্যন্ত দারুণ গল্প লিখে যাচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীরে জন্ম নেওয়া উ মর'ান। এই পেসারের গল্পে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে রউফের গল্প-এমনই দাবি সামিন রানার। শুধু উ মর'ানই নয়, তার ফ্র্যাঞ্চাইজির হাত ধরে পাকিস্তানের ক্রিকেট ভারতের ক্রিকেটকেই অনুপ্রাণিত করেছে বলে গর্ব লাহোরের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকের।
পাকটিভিতে সামিন রানা বলেছেন, ‘খুব খুশি লাগছে যে লাহোর কালান্দার্স শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেটই নয়, ভারতের ক্রিকে'টেও ছাপ ফেলেছে। আপনি যদি উ মর'ান মালিকের গল্পটা দেখেন, দেখবেন এটা আসলে হারিস রউফের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। হয়তো ওরা হ্যারিসের গল্পটা দেখে ভেবেছে, পাকিস্তানের ক্রিকে'টে যদি এমনটা 'হতে পারে, তাহলে ভারতের ক্রিকে'টে কেন নয়!’
সামিন রানার ব্যাখ্যা, দুজনই সাদা বলের ক্রিকে'টে শুরু করেছে, দুজনই জম্মু-কাশ্মীর থেকে উঠে আসা, দুজনের কারওই এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকে'টের অ'ভিজ্ঞতা ছিল না’। হ্যারিসের জন্ম রাওয়ালপিন্ডিতে।
টি নটরাজনের করো'না হওয়ায় বিকল্প পেসারের খোঁজেই ২০২১ সালে সানরাইজার্স টেনে নেয় উ মর'ানকে। তবে হায়দরাবাদের দলটিতে যোগ দেওয়ার আগেই জম্মু-কাশ্মীর দলের অংশ ছিলেন উ মর'ান। সে সময়ে ২১ বছর বয়সী উ মর'ানের তত দিনে নিজ রাজ্যের হয়ে দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, একটি টি-টোয়েন্টি ও একটি লিস্ট এ ম্যাচ খেলার অ'ভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।