কলকাতার জয়ের স্বপ্ন চূর্ণ রাসেলের বিদায়েই। আলজারি জোসেফের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল শর্ট পিচ। সেই বলটা রাসেলের ব্যাট ছুঁয়ে প্রায় ছক্কাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফাইন লেগ থেকে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নিলেন লকি ফার্গু'সন।
তাতে থামল রাসেলের ১ চার ও ৬ ছক্কার ইনিংসটি। কলকাতার জয়ের স্বপ্নও শেষ যেন তখনই। ৬ বলে ১৮ রানের সমীকরণ নিয়ে ওভারটা শুরু করেছিল রাসেলের কলকাতা। প্রথম বলটা ফুল টস, সেই বলে লং অন দিয়ে কী বিশাল এক ছক্কাই না মা'রলেন রাসেল। বল আছড়ে পড়ল ৯৬ মিটার দূরে গ্যালারিতে। ৫ বলে ১২ রানের সমীকরণটা রাসেলের বিদায়ে হয়ে যায় ৪ বলে ১২। টিম সাউদি ও উমেশ যাদবরা নিতে পারলেন মোটে ৩ রান।
৮ উইকে'টে ১৪৮ রানে থেমে রাসেলের কলকাতা হেরেছে ৮ রানে। আর সপ্তম ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে গু'জরাট। রাসেল বল হাতে পেয়েছিলেন গু'জরাটের ইনিংসের শেষ ওভারে। ওভারের প্রথম দুই বলে রাসেল ফিরিয়ে দেন অ'ভিনব মনোহর ও লকি ফার্গু'সনকে। দুজনই ক্যাচ দিয়েছেন ডিপ মিডউইকে'টে রিংকু সিংয়ের হাতে। আলজারি জোসেফ স্বদেশি রাসেলকে হ্যাটট্রিক পেতে দেননি।
১ রান নিয়ে জোসেফ প্রান্ত বদলের পর স্ট্রাইকে এসেই বাউন্ডারি রাহুল তেওয়াতিয়ার। পরের বলে আবারও বড় শট খেলতে গিয়ে সেই রিংকুর হাতেই ক্যাচ দিলেন তেওয়াতিয়া। শেষ বলে আর রিংকুকে বল ছুঁতে দেননি রাসেল। নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন যশ দয়ালের। শেষ ওভারে ৪ উইকেট হারানো গু'জরাট ৯ উইকে'টে করে ১৫৬ রান। সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে।
তিনে নেমে ৪৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় এই রান করেছেন পান্ডিয়া। ১৮তম ওভারে অধিনায়কের বিদায়ের পর শেষ ১৬ বলে মাত্র ১৮ রান তুলতে পারে গু'জরাট। রান তাড়ায় কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটা রাসেলেরই। এ ছাড়া বলার মতো রান পেয়েছেন রিংকু। ২৮ বলে ৩৫ রান করেছেন এক ওভারে ৩ ক্যাচ নেওয়া খেলোয়াড় গু'জরাত টাইটান্সের কাছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারের পাঁচ কারণ বিশ্লেষণ করা হলো
এক, কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরুতে শুভমান গিলকে ফিরিয়ে গু'জরাত টাইটান্সকে ধাক্কা দিলেও দ্বিতীয় উইকে'টে ৭৫ রান যোগ করেন হার্দিক পাণ্ড্য ও ঋ'দ্ধিমান সাহা। ১০ ওভারে ৭৮ রান তুলে ফেলে গু'জরাত।
দুই, শিবম মাভি, বরুণ চক্রবর্তী প্রচুর রান দেন। মাভির চার ওভারে ওঠে ৩৬ রান, বরুণ তিন ওভারে দেন ২৬ রান।
তিন, ফের ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা। প্রথম ওভারেই ফিরে যান স্যাম বিলিংস।
চার, রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। মাত্র ৩৪ রানে চার উইকেট পড়ে যায়।
পাঁচ, পরপর উইকেট হারাতে থাকায় কলকাতা কখনোই রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি। পাওয়ার প্লে, অর্থাৎ প্রথম ছ’ওভারে মাত্র ৩৪ রান তুলতে পারে কলকাতা।