মুশফিকুর রহিমের ফর্মটা ঠিকঠাক যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকে'টের পর ঘরোয়া ক্রিকে'টে ফিরেও যাত্রাটা শুভ হল না। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) দল বদলে সুপার লিগে নাম লেখালেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। প্রথম ম্যাচে জ্বলে না উঠলেও কোচ সোহেল ইসলাম বলছেন তাদের বিশ্বা'স মুশফিক যেকোনো সময় বড় ইনিংস খেলবেন।
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সাকূল্যে রান করেছেন ৫০। দুই টেস্টের ৪ ইনিংসে রান ৫৯! যেখানে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করলেও অসময়ে রিভার্স সুইপ খেলে দলকে বিপদে ফেলে হয়েছেন সমালোচিত। বাকি ইনিংসগু'লো ৭, ০ ও ১।
এমন বাজে সফর শেষে দেশে ফেরার আগেই ডিপিএলে তার দল মো হা'মেডান প্রথম পর্বেই বিদায় নেয়। ফলে ফাঁ'কা সময়ে দল বদলে শেখ জামালে নাম লেখান। দলটি প্রথম পর্ব শেষ করেছিল শীর্ষে থেকে, সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেন মুশফিক, তবে থেমছেন ৩২ রানেই। পরে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে জয় এনে দেন নুরুল হাসান সোহান।
বাকি ৩ ম্যাচে দলের প্রয়োজনে মুশফিকও জ্বলে উঠবে বিশ্বা'স কোচ সোহেল ইসলামের। আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) তারা মুখোমুখি হচ্ছে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে।
তার আগে আজ (২৩ এপ্রিল) অনুশীলন শেষে মিরপুরে মুশফিককে নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুশফিক এখানে রান করবে আ মর'া আ'ত্মবিশ্বা'সী এবং যেকোনো সময় সে দলের জন্য বড় স্কোর করবে যা দলকে সাহায্য করবে এটা আ মর'া বিশ্বা'স করি।
মুশফিক আগের মৌসুমে খেলেছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হয়ে। তার মতো ক্রিকেটারের অ'ভিজ্ঞতা ড্রেসিংরুমে তরুণ ক্রিকেটারদের পরিস্থিস্তি বুঝতে শেখায় বলছেন সোহেল ইসলাম।
‘তাদের (মুশফিক) অনেক অ'ভিজ্ঞতা, এই অ'ভিজ্ঞতাগু'লো ভাগাভাগি করে। এ ধরণের বড় ম্যাচ খেলতে গেলে ছেলেদের মানসিকভাবে কি অবস্থার মধ্যে থাকতে হয় এ জিনিসগু'লো ছেলেরা শিখছে।’
সবমিলিয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা শেখ জামালের শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেনেজন্ডস অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট ১৮। ফলে শেখ জামাল কোনো কারণে শিরোপা না জিতলে সেটাই হবে অস্বাভাবিক ও আশ্চর্যজনক। তবে দলটির কোচ নিজেদের সম্ভাবনা বেশি দেখলেও ক্রিকেট অনিশ্চিত খেলা বলেই শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে চান না।
‘ক্রিকে'টে যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে ততক্ষণ আপনি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেন না আসলে কিছুই। তো আমি বলবো যে আমা'দের সম্ভাবনাটা সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই আ মর'া গত ম্যাচগু'লো যেভাবে খেলে এসেছি সেভাবে আমা'দের নজর থাকবে এবং আ মর'া সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলছি।’
তারকা নির্ভর দল না গড়েও এমন সাফল্যের রহস্য হিসেবে সোহেল ইসলাম বলছেন দল হয়ে খেলাটাই কাজে দিয়েছে, ‘আমা'দের ভালো করার পেছনে দুইটা কারণ। একটা হল টিম কম্বিনেশনটা ভালো ছিল, অলরাউন্ডার বেশি থাকাতে বোলিং বিকল্প বেশি ছিল। ব্যটিং অর্ডারটাও লম্বা ছিল। এটা একটা জিনিস আর আ মর'া দল হিসেবেও ভালো খেলেছি। দল হিসেবে না খেললে আমা'দের মাঝারি মানের দল নিয়ে ভালো খেলা কঠিন ছিল।’