ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডকে সহজেই হারিয়েছে তারা। এইদিন প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি আবাহনী লিমিটেড।
মিরপুরের হোম অফ ক্রিকে'টে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ৩২.৪ ওভারে মাত্র ১৩২ রানে গু'টিয়ে গেছে আবাহনী। একাই লড়ে ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। যা গেছে বিফলে।
এই জয়ের পর ১১ ম্যাচে আবাহনীর সমান ১৪ পয়েন্ট হলো প্রাইম ব্যাংকের। তবে তাদের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমীকরণ বেশ কঠিনই বটে। বাকি চার ম্যাচে জেতার পাশাপাশি টেবিল টপার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবসহ বাকিদের পরাজয়ের জন্যও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ সূচনা এনে দেন এনামুল হক বিজয় এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। এ দু’জনের ৯৭ রানের ওপেনিং জুটির ওপর ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পায় প্রাইম ব্যাংক।
৫১ বল খেলে ৩৮ রান করে শাহাদাৎ দিপু আউট হয়ে গেলেও এনামুল হক বিজয় খেলেছেন ৮৫ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাট করতে নেমে এবারও ব্যর্থ। তিনি করেছেন কেবল ৮ রান। মো হা'ম্ম'দ মিঠুন করেছেন ৪৪ রান।
নাসির হোসেন এই ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৬ রান। ইয়াসির আলি চৌধুরী করেছেন ৪৩ রান। শামসুর রহমান শুভ আউট হন কোনো রান না করেই। শেখ মেহেদি হাসান অ'পরাজিত থেকে যান ৩৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংকের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান।
আবাহনীর হয়ে ধনঞ্জয় ডি সিলভা নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন আরাফাত সানি, শহিদুল ইসলাম, তানভির ইসলাম এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় আবাহনী। লিটন দাস ২৩ রান করেন। দুই অ 'ঙ্কে যেতে পারেননি জাকের আলি অনিক (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (০) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (৫)।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত একার লড়াইয়ে ফিফটি হাঁকান। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ৩ ছয়ের মা'রে ৫৭ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। এছাড়া সাইফউদ্দিন করেন ১১ রান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দশ উইকে'টের সবগু'লোই নিয়েছেন স্পিনাররা। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান ও নাসির হোসেন। এছাড়া শেখ মেহেদি হাসান ও তাইজুল ইসলামের শিকার ২টি করে উইকেট।