গত দুই মৌসুম মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে নিয়মিত বোলিং করেননি হার্দিক পান্ডিয়া। চোটের কারণে মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলে গেছেন তিনি। কিন্তু গু'জরাট টাইটানসের হয়ে এবার হার্দিক পান্ডিয়া হয়ে উঠেছেন পুরোপুরি এক অলরাউন্ডার।
শুধু ৪ ওভার বোলিংই করছেন না, ব্যাটিং করছেন চার নম্বরে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তিনি খেলছেন অ্যাংকরের দায়িত্বে। ডেথ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে পালন করছেন ফিনিশারের দায়িত্বও। স'ঙ্গে অধিনায়কত্ব তো আছেই। অলরাউন্ডার তো একেই বলে। পান্ডিয়ার এই অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা তাঁর দল গু'জরাটকেও করেছে ধা'রাবাহিক। বৃহস্পতিবার নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে পান্ডিয়ার ব্যাটিং–ঝড়েই রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছে গু'জরাট।
১৫ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে গু'জরাটকে তিনি বিপদ মুক্ত করেছেন ৫২ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। এই ইনিংসে ভর করে ৪ উইকে'টে ১৯২ রান তোলে গু'জরাট। রান তাড়ায় পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকে'টে ১৫৫ রান করতে পারে রাজস্থান। ৩৭ রানের জয়ে গু'জরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন কিউই পেসার লকি ফার্গু'সন। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট তালিকার সবার ওপরে গু'জরাট।
অবশ্য রাজস্থানের ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের সময় গু'জরাটের রান তাড়া করা খুব সহজই মনে হচ্ছিল। জস বাটলারের ২৪ বলে ৫৪ রানের বি ধ্বং'সী ইনিংস দেখে মনে হচ্ছিল ১৫ ওভারের মধ্যেই জিতে যাব'ে রাজস্থান। কিন্তু ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ফার্গু'সন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে পিঞ্চ হিটার হিসেবে তিনে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও বাটলারকে আউট করে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন। অশ্বিনকে কাভার ফিল্ডারের ক্যাচ বানিয়ে বাটলারের স্টাম্প উড়িয়েছেন দ্রুতগতির ইয়র্কারে।
এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়েও পাওয়ারপ্লে শেষে রাজস্থানের রান ৬৫। এরপর অবশ্য মাঝের ওভারে বাটলারের গড়ে দেওয়া মঞ্চ কাজে লাগাতে পারেননি কেউই। শি মর'ন হেটমায়ার ১৭ বলে ২৯ রান করে একটু আশা জাগিয়েছিলেন। ডেথ ওভারে সেই ফার্গু'সন আবারও আঘা'ত হানেন। এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল গু'জরাটও। কিন্তু সেটি সামাল দিয়েছেন পান্ডিয়া। দলের ১৫ রানের মাথায় ম্যাথু ওয়েড ও বিজয় শংকরকে হারায় দলটি।
পান্ডিয়া চারে নেমে সে বিপর্যয় সামলে উঠতে না উঠতেই শুবমান গিলও আউট। এরপর অ'ভিনব মনোহরের স'ঙ্গে ৫৫ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন পান্ডিয়া। মনোহর আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তবে গু'জরাটের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে পান্ডিয়া-মিলার জুটি। ডেথ ওভারে দুজনের যুগলবন্দীতে গু'জরাটকে ২৫ বলে ৫৩ রান এনে দেয়। ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৪ বলে ৩১ রান।