ফরচুন বরিশালের বিপক্ষ ৫ উইকে'টের দুর্দান্ত জয়ে হারের বৃত্ত ভাঙলো মিনিস্টার ঢাকা। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও এই জয় পেলো ঢাকা। মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ফরচুন বরিশাল।
ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ৯ বলে ৫ রান করে শুভাগত হোমের বলে নাঈম শেখের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৮ বলে ১৫ রান করে হাসানের মুরাদের শিকার হয়ে বিদায় নেন সৈকত আলি। রানের খাতা খোলার আগেই আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তৌহিদ হৃদয়।
টানা তিন ওভারে তিনটি উইকেট হারিয়ে বরিশালের স্কোর দাঁড়ায় ২৩ রানে ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকে'টে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইল। তাদের ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আউট হলে। রুবেলের বলে মো হা'ম্ম'দ শাহজাদের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। বরিশালের অধিনায়ক করেন ১৯ বলে ২৩ রান। সাকিবের ইনিংসের ছিল দুইটি চার ও একটি ছক্কা।
নুরুল হাসান সোহান ৫ বলে ১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে বাউন্ডারিতে জহুরুল ইসলামের হাতে ধ’রা পড়েন সোহান। তারপর গেইলও বিদায় নেন। ৩০ বলে ৩৬ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ইসুরু উদানার বলে ক্যাচ দেন গেইল।
বরিশালের ইনিংসে বাকি রান যোগ করেন ব্রাভো একাই। এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে হার না মানা ৩৩ রান। ব্রাভোর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশাল সংগ্রহ করে ১২৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শফিকুল ইসলাম ও আলজারি জোসেফের পেস তোপে শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার টপ অর্ডার।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন শফিকুল। পরের ওভারে জোসেফের বলে দিক-ভ্রান্ত হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। একই ওভারে জহুরুল ইসলামকেও বোল্ড করেন জোসেফ। শফিকুল নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পান একটি উইকেট।
এবার মো হা'ম্ম'দ শাহজাদকে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি তরুণ পেসার। ১০ রান ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে ঢাকা। শুভাগতকে নিয়ে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক রিয়াদ। জুটির অর্ধশতক পূর্ণ করে দলকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনেন তারা দুইজন।
রিয়াদ ও শুভাগতর ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন ব্রাভো। মাঝ-মাঠে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শুভাগত। ২৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় ঢাকা। আন্দ্রে রাসেল ২২ গজে নেমেই ঝড় তোলেন। ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় জীবন পান রিয়াদ।