১৯৮০ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন শ’হীদ আফ্রিদি। ১৯৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন আধুনিক ক্রিকে'টের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার । সেই থেকে ক্রিকেট বিশ্ব মাতিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। ‘বুমবুম’ খ্যাত এই দুর্দান্ত অলরাউন্ডারের আজ ৪১তম জন্ম'দিন।
আফ্রিদিকে ক্রিকে'টের এক কমপ্লিট প্যাকেজ বলা হয়। যেখানে বি ধ্বং'সী ব্যাটিং, স্টাইলিশ লেগ স্পিন আর নায়কোচিত উদযাপনতো আছেই। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ওয়ানডেতে মাত্র ৩৭ বলে বিশ্ব কাঁপানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের আগমন বার্তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। অবিশ্বা'স্য ক্যারিয়ারে বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকানোর জন্য আফ্রিদি সবার কাছে ‘বুমবুম’ নামে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকে'টে রেকর্ড ৪৭৬টি ছক্কা হাঁকানোর কীর্তিও আছে তার ঝুলিতে। এছাড়া বল হাতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট (৯৭) তুলে নেওয়ার রেকর্ডও তার। তার ক্যারিয়ারে ৩৯৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ৮০৬৪ রান আর ৩৯৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৫২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডও আছে তার নামে।
এছাড়া ২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে মাত্র ৫ সেঞ্চুরি আর ৮ ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে ৯১ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৪১৬ রান করেন। তবে আফ্রিদিকে শুধু ব্যাটিং দিয়ে মাপলে চলবে না। তার বোলিং হচ্ছে আসল শক্তির জায়গা। বোলার হিসেবে যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সা মর'্থ্য আছে তার।
৩৯৮ ওয়ানডেতে হাত ঘুরিয়ে ৩৯৫ উইকেট (৯ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও আছে) তার বোলিং সা মর'্থ্যকে ঠিক তুলে ধরতে সক্ষম নয়। স্পিন বোলার হলেও তার বলের গতি প্রায়ই ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে দেয়।
আফ্রিদির সবচেয়ে বড় কীর্তি পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা। এছাড়া ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ'ভিষেক আসরে সিরিজ সেরা আর পরের আসরের ফাইনালে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন আফ্রিদি। দ্বিতীয় আসরে (২০০৯) তার দেশ পাকিস্তান প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায়। সেবার সেমিফাইনাল আর ফাইনালে ফিফটি করেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েও ক্রিকেট ছাড়তে পারেননি আফ্রিদি। খেলে যাচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)।