আইপিএল ২০২০-তে পরিচিত ফর্মে ছিলেন না পৃথ্বী শ। অস্ট্রেলিয়া সফরে একটি মাত্র টেস্ট খেলেই পাকাপাকিভাবে রিজার্ভ বেঞ্চে চলে যেতে হয় মুম্বইয়ের তরুণ ওপেনারকে। পরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁকে বাদ পড়তে হয় জাতীয় দল থেকে। পৃথ্বীর টেকনিকে সমস্যা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করার পর তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারের ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য
তাঁর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস প্রবীণ আ মর'েকে আলাদা করে নিয়োগ করে। অবশেষে পৃথ্বী ফিরলেন পরিচিত ছন্দে। দিল্লির বিরু'দ্ধে চলতি বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৯ বলে ১০৫ রানের অ'পরাজিত ইনিংস খেলে মুম্বইকে জয় এনে দেন পৃথ্বী। মহারাষ্ট্রের বিরু'দ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৩৪ রান।
এবার পুদুচেরির বিরু'দ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে কার্যত ঝড় তোলেন তরুণ ওপেনার। ধ্বং'সাত্মক ডাবল সেঞ্চুরি করে জাতীয় নির্বাচকদের জোরালো বার্তা ছুঁড়ে দেন পৃথ্বী। পৃথ্বীর পাশাপাশি ব্যাট হাতে ধ্বং'সাত্মক ইনিংস খেলেন সূর্যকুমা'র যাদব। ইংল্যান্ডের বিরু'দ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য সদ্য জাতীয় দলে ঢোকা সূর্যকুমা'র চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে।
তিনি মাত্র ৫০ বলে ব্যাক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। পৃথ্বী শ ব্যাক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৭ বলে। তিনি সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান ৬৫ বলে। দেড়শো রানে পৌঁছতে পৃথ্বী খরচ করেন ১০৪টি বল। তিনি ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৪২ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৫২ বলে ২২৭ রান করে অ'পরাজিত থাকেন পৃথ্বী।
বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে এটিই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ড। তিনি পিছনে ফেলে দিলেন সঞ্জু স্যামসনের ২১২ রানের নজিরকে। উল্লেখ্য, এই ম্যাচে মুম্বইকে নেতৃত্ব দিতে নামেন পৃথ্বী। রাজ্য দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচেই ধ্বং'সাত্মক ইনিংস খেললেন শ।