রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে বড় ধাক্কা খেল লাৎসিও। জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ঘরের মাঠে তারা হেরেছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের পথ এক পা দিয়ে রাখল বাভারিয়ানরা।
কথায় আছে চেনা বামনের পৈতা লাগে না। ঠিক তেমনি ইউসিএলের মঞ্চে নিজেদের চেনাতে ভুল করেনি জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। না হলে কি গেল সপ্তাহ ধুঁকতে থাকা দলটা ইতালির মাঠে জয় পায় ৪-১ গোলের ব্যবধানে।
রোমা'র স্তাদিও অলম্পিয়াকোতে ফেভারিট তকমাটা লাৎসিওকে বুঝিয়েছে ম্যাচের শুরুতেই। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হয়েছে চ্যাম্পিয়নদের মতো। মাত্র ৯ মিনিটের অ'পেক্ষায় প্রথম গোলের দেখা পায় হ্যান্সি ফ্লিক শিষ্যরা। দলকে লিড এনে দেন দলের প্রাণভো মর' রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
লিড দ্বিগু'ণ করতেও বেশি সময় অ'পেক্ষায় থাকতে হয়নি। আ'ক্রমণ আর পাল্টা আ'ক্রমণে বেশ রোমাঞ্চ ছড়ায় ম্যাচে। ২৪ মিনিটে ২-০’তে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এবার স্পট লাইটে জামাল মুসিয়ালা। গোরেটসকার পাস থেকে স্বাগতিকদের জাল কাঁপান এই ইংলিশ ফুটবলার।
বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আরও এক গোল পায় বাভারিয়ানরা। এবার অবশ্য একক নৈপুণ্যে গোল করেন লিরয় সানে। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফররতরা।
বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে স্বাগতিক ক্লাবটি। বেশ কয়েকটি আ'ক্রমণে যায় লাৎসিও। কিন্তু ফল আসেনি। উল্টো ৪৭ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে বসে ইতালির ক্লাবটি। এবার অবশ্য নিজেদের ভুলে লিড বাড়ে বায়ার্নের। ৪৭ মিনিটে অ্যাকেরবি নিজেদের জাল কাঁপান। ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় মুলাররা।
অবশ্য বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে লাৎসিও। ফলও পায় তারা। ২ মিনিট পর ব্যবধান কমায় স্বাগতিক ক্লাবটি। গোলটি আসে কোরেয়ার পা থেকে।
ইতালিয়ান ক্লাবটির প্রতিরোধ বলতে যা ছিল এই একটা গোলই। এরপর বেশ কয়েকটি চেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো কিন্তু বায়ার্নের রক্ষণ ফাটল ধ’রানোর মতো ছিল না। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ওই ৪-১ গোলের জয় নিয়ে প্রথম লেগ শেষ করলো বায়ার্ন মিউনিখ। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল জার্মান জায়ান্টরা।