সাকিব আল হাসান হুট করেই দেশের খেলা ফেলে আইপিএলে যাওয়ার সি'দ্ধান্ত নিয়েছেন, বি'ষয়টা এমন নয়। টেস্টের প্রতি তিনি অনীহা দেখাচ্ছেন অনেক দিন ধরে। তিন বছর আগেই সাদা পোশাকে না খেলার কথা জানিয়েছিলেন এই তারকা। এতদিন তাকে জোর করে খেলানো হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে দেশের হয়ে খেলতে অনিচ্ছুকদের আর জোর না করার নতুন সি'দ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
বাংলাদেশের হয়ে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলার বদলে আগামী এপ্রিল মাসে আইপিএলে খেলার সি'দ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। তাকে অনাপত্তিপত্রও দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। সোমবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে সাকিবকে আইপিএলে যেতে দেওয়ার যৌ'ক্তিকতা তুলে ধরেন বোর্ড প্রধান, ‘সাকিবকে কি খেলানো যাব'ে না জোর করে? ওকে ছুটি না দিলে কি করতো? হয়তো খেলত। কিন্তু আ মর'া এটা চাই না। আ মর'া চাই, যারা খেলাটাকে ভালোবাসেসেই খেলুক। জোর করে আমি খেলাতে চাই না। সাকিব তো আরও তিন বছর আগেই খেলতে চায়নি টেস্টে। ও তো এমনিতেই টেস্টের প্রতি অত আগ্রহ দেখায়নি। চাচ্ছিল না খেলতে। তখন তো ওকে টেস্ট অধিনায়ক করে দেওয়া হলো। জোর করে চেষ্টা করলাম তো। কিন্তু আসলে জোর করে খেলানোর মানে হয় না।’
জোর করে খেলানোর কারণে দল উলটো ক্ষ'তিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মত বিসিবি সভাপতির। বরং অনিচ্ছুকদের সরিয়ে সাময়িক সংকট সয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তার, ‘আমা'র মনে হয়, তাতে (জোর) করে আ মর'া ভবি'ষ্যতের দিকে আগাতে পারছি না। পিছনের দিকে যাচ্ছি। এখন সবার জন্য যদি ফ্রি থাকে, ওপেন থাকে, কাউকে জোর করব না। আ মর'া যখন জানব, এই কয়জন খেলতে চায় না টেস্ট, তখন তাদের বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমা'দের। হয়তো এক বছর বা দেড় বছর সময় লাগবে, লাগু'ক। কিন্তু ভবি'ষ্যতের জন্য আ মর'া (নতুন খেলোয়াড়) পাব।’
পরিচালক ও ক্রিকেটারদের স'ঙ্গে সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির নতুন রূপরেখা ঠিক করেছেন বোর্ড প্রধান। নতুন চুক্তিতে ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন বিকল্প। কে কোন সংস্করণে খেলবেন বা খেলবেন না, তা জানাতে হবে আগেই। যারা চুক্তিতে সই করবেন, তারা পরে দেশের কোনো সিরিজের আগে আর সি'দ্ধান্ত বদলাতে পারবেন না।
স্পষ্ট করেই নাজমুল জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা ওয়ানডে খেলবে, টি-টোয়েন্টি খেলবে, তারা বলে দিবে, আ মর'া টেস্ট খেলব না। কোথায় কোথায় টুর্নামেন্ট হবে, ফ্র্যাঞ্চাইজি হবে, ওগু'লো খেললে, টেস্ট খেলব না বলে দিক। আ মর'া তো লিখিত নিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু জাতীয় খেলা, যে বলবে খেলবে, তাকে খেলতেই হবে।’