চলতি বছরের জন্য বিসিবির স'ঙ্গে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আইসিসির নিষে'ধাজ্ঞার কারণে গত বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরু'দ্ধে হোম সিরিজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকে'টে প্রত্ যাব'র্তন হওয়া সাকিবের নতুন বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট খেলতে না চাওয়া এ অলরাউন্ডারকে লাল বলের ক্রিকে'টে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এবার নাও রাখা 'হতে পারে। টেস্টের সময় আইপিএলে খেলার জন্য ছুটি চেয়েছেন সাকিব। বিসিবিও ছুটি মঞ্জুর করেছে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টেস্টে সাকিবকে রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে গতকাল বিসিবির ক্রিকেট অ'পারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘যেহেতু আমা'দের বোর্ড সভা এখনও হয়নি। তবে আ মর'া এ বি'ষয়ে একটা সি'দ্ধান্ত নিব।’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজই বিসিবি কার্যালয়ে আকরাম খান, বিসিবির প্রধান নির্বাহীর স'ঙ্গে নির্বাচকদের মিটিং হবে। সেখানেই কেন্দ্রীয় চুক্তির বি'ষয়ে সি'দ্ধান্ত হবে। এবং সাকিবকে টেস্টের জন্য চুক্তিতে না রাখার সম্ভাবনাই বেশি।
নিউজিল্যান্ডগামী দলের কর্মকর্তাদের স'ঙ্গে বোর্ড সভাপতির মিটিং হবে কয়েকদিনের মধ্যে। সেখানেও সাকিবের বি'ষয়টি তোলা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচকরা কেন্দ্রীয় চুক্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন। সূত্র জানায়, সেই তালিকায় সাকিবের নাম সুপারিশ করা হয়নি। তবে এ বি'ষয়ে ক্রিকেট অ'পারেশন্স বিভাগ আজ সি'দ্ধান্ত নিবে। পরে তা বোর্ড সভাপতির কাছে উত্থাপন করা হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের জন্য দেশের হয়ে নির্দিষ্ট ফরম্যাটকে এড়িয়ে যাওয়া ক্রিকেটাররা বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সমভাবে মূল্যায়িত হবেন না। তিন ফরম্যাটের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা হবে না তাদের। দেশের জন্য তিন ফরম্যাটে খেলতে ইচ্ছুক ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
বিসিবির পরিকল্পনা রয়েছে টেস্টের দলটা আলাদা করা হবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কথায় স্পষ্ট, দেশের জন্য তিন ফরম্যাটে খেলতে প্রস্তুত থাকা ক্রিকেটারদের স'ঙ্গে অন্যদের চুক্তির পার্থক্য থাকবে।
রবিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘বোর্ডের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা তো আছেই। আ মর'া চেষ্টা করবো আমা'দের টেস্ট দল ও সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটের দলটা আলাদা করতে। কারণ এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেকে টেস্ট খেলতে চাচ্ছে না বা টেস্টের জন্য উপযোগীও না। ল'ঙ্গার ভার্সনের জন্য আলাদা যদি দল করা যায় সেটিই কার্যকর হবে। অবশ্যই এখানে পার্থক্য থাকবে খেলোয়াড় যারা শুধু টেস্ট খেলবে, ওয়ানডে ও টি-২০ খেলবে, এখানে তো একটা পার্থক্য 'হতেই পারে। খুব স্বাভাবিক।’