যাত্রার শুরুটা হয়েছিল সেই ২০০০ সালে। এরপর কে'টে গেছে প্রায় ২১ বছর। লম্বা এ সময়ে টেস্ট ক্রিকে'টে বাংলাদেশ দলের উন্নতি সে অর্থে হয়নি। মাঝে মধ্যে বিচ্ ছিন'্নভাবে কিছু জয় আসলেও তার সিংহভাগই দেশের মাটিতে। এ সংস্করণে খেলতে গেলে যেন ক্রিকে'টের বেসিকই ভুল যান ক্রিকেটাররা। কিন্তু এরজন্য শুধু নিজেদেরকে কাঠগড়ায় তুলছেন না দলের অন্যতম সেরা তারকা সাকিব আল হাসান। দায় গণমাধ্যমকেও দিচ্ছেন এ অলরাউন্ডার।
গত দুই দশকে মোট ১২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে জয় পেয়েছে মাত্র ১৪টিতে। ড্রয়ের সংখ্যাও বেশি নয়। মাত্র ১৬টি। বলাবাহুল্য এর বেশিরভাগই দেশের মাটিতে। বিপরীতে হেরেছে ৯১ টেস্টে। অর্থাৎ, ৮০ শতাংশ ম্যাচই হেরেছে টাইগাররা। টেস্ট জেতার মতো দল যে এখনও হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তাও পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে আসেনি ক্যারিবিয়ানরা। তাদের কাছেই নাস্তানুবাদ। এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবেই টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু দল জিতলে এই সমালোচনা 'হতো না বলে মনে করেন সাকিব। অথচ জয় পেলেও নিজেদের ভুলগু'লো নিয়ে আলোচনা করাটাই গণমাধ্যমের কাছে প্রত্যাশা করেন সাকিব।
‘ক্রিকে'টে কোন সি'দ্ধান্তই ভুল বা ঠিক সি'দ্ধান্ত হয় না। প্রতিটা সি'দ্ধান্তই সব খেলোয়াড়, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই মিলে নেন। জেতার কথা ভেবেই। যখন এটা ঠিক হয় না তখন আপনারা প্রশ্নটা করেন। অনেক সময় ঠিক হলেও জিনিসটা ভুল 'হতে পারে। সেটা আপনারা বুঝতেও পারেন না। যেটা বললাম জিতে গেলেই আপনারা এই প্রশ্নগু'লা করতেন না। কিন্তু তখনো আপনাদের কাজটা ছিল প্রশ্ন করার। সেখানে আপনাদেরও অনেক বড় দায়িত্ব আছে আপনারা কি করবেন না করবেন, আপনারা কীভাবে সাংবাদিকতা করবেন। দায়িত্ব আপনাদেরও আছে।’ -সাংবাদিকদেরও কাঠগড়ায় তুলে এমনটাই বলেন সাকিব।
তবে নিজেদের ফিরে পেতে আ'ত্মবিশ্বা'সী এ অলরাউন্ডার, ‘আ মর'া তো কেউই প্রত্যাশা করি নাই এরকম হবে। কারণ এর আগে ওদের পুরো শক্তি দলকে আ মর'া সব কিছুতে হারিয়েছিলাম। প্রথম টেস্টের চারদিন পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। পঞ্চম দিন থেকেই আমা'দের খারাপের ধা'রাটা শুরু। দ্বিতীয় টেস্টে একটা সময় রিকোভারি করেছিলাম। কিন্তু হয়নি পরে। স্বাভাবিকভাবেই কঠিন সময়। কিন্তু আগেও কঠিন সময় এসেছে। সবাই মিলে কাজ করে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বা'স করি এবারও একস'ঙ্গে কাজ করে বের হয়ে আসতে পারব।’
‘সা মর'্থ্য আছে। এটা আমি বিশ্বা'স করি। এর আগেও এরকম পরিস্থিতি এসেছে। সেখান থেকে আ মর'া বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আবার দুএকটা ভাল ফলই সব কিছুর প্রেক্ষাপট বদলে দিতে পারে। কাল যদি ১৭ রান আ মর'া আরও বেশি করতাম এখন এইসব কথাগু'লা 'হতো না।’ – যোগ করেন সাকিব।