আগের দিন ঘরের মাঠে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে এবার ধাক্কা খেল ক্রিশ্চিয়ানো রো'নালদোর জুভেন্টাসও।
জুভরা অবশ্য ঘরের মাঠে নয়, হারের ব্যবধানও ওত বড় নয়। তবে পোর্তোর বিপক্ষে ২-১ গোলের হারটা তাদের জন্য অ'প্রত্যাশিতই বটে! গ্রুপপর্বে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয়া আন্দ্রে পিরলোর দল শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াইয়ে একদমই ছন্নছাড়া ছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয়বারের চেষ্টায় এবারই প্রথম জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয় পেল পোর্তো। দুই অর্ধেই শুরুর বাঁশি বাজতে না বাজতেই তাদের কাছে গোল খেয়ে বিপদে পড়েছে জুভরা।
ম্যাচে ৬৩ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম গোল হজম করে জুভেন্টাস। সেটাও আবার নিজেদেরই ভুলে। গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি নিজেদের ডি বক্সে বল দিয়েছিলেন রদ্রিগো বেন্তানকুরকে। তিনি সেই বল ব্যাকপাস করেন গোলরক্ষককেই।
কিন্তু সেই ব্যাকপাস লক্ষ্যে ছিল না। কাছেই দাঁড়ানো পোর্তোর ইরানি স্ট্রাইকার মেহেদি তারেমি বল পেয়ে যান। সেটি জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। পিছিয়ে পড়ে যেন আরও তালগোল পাকিয়ে ফেলে জুভেন্টাস। প্রথম শট নিতে তাদের লাগে ৪২ মিনিট। যদিও আদ্রিও রাবিওর শটটি ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন পোর্তোর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অগাস্টিন মা'র্চেসিন।
দ্বিতীয়ার্ধের ১৯ সেকেন্ডের মাথায় আর এক গোল হজম করে বসে জুভেন্টাস। ডান দিক থেকে উইলসন মানাফার পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিচু শটে জাল কাঁপান মালির ফরোয়ার্ড মুসা মা'রেগা।
৮২ মিনিটে জুভেন্টাসকে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল এনে দেন ফেদেরিকো চিয়েসা। বাঁ দিক থেকে রাবিওর ক্রস ডি-বক্সে ফাঁ'কায় পেয়ে জোরালো শটে ২-১ করেন তিনি।
ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন রো'নালদো। বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। তবে যোগ করা চার মিনিটের শেষ মুহূর্তে পর্তুগিজ যুবরাজ ডি বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের বাধায় পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেছিল জুভরা। ভিআর দেখে রেফারি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে নিজের দেশের দলের বিপক্ষে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি রো'নালদোর।
আগামী ৯ মা'র্চ ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে পোর্তোর বিপক্ষে লড়বে জুভেন্টাস। নিজেদের মাঠে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখানোর সুযোগ তাই এখনও আছে তাদের।