চট্রগ্রাম টেস্টে ক্যারিবিয়ানরা যেভাবে জিতেছিল ঠিক সেভাবেই ঢাকা টেস্টে জেতার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ক্যারিবিয়ানরা অবিশ্বা'স্য কাজটা বাংলাদেশের মাঠে করতে পারলেও ঘরের মাঠে ব্যর্থ টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ক্যারিবিয়ানদের কাছে ১৭ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে। জবাবে ২৯৬ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের ১১৭ রানে গু'টিয়ে দিয়ে ২৩১ রানের লক্ষ্য পেয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মমিনুলের দল শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানেই থেমেছে। তাতেই ২০১২ সালের পর আবারো এশিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় ক্যারিবিয়ানরা।
২১৭ রান, এমনিতে লক্ষ্যটা খুব বড় না। কিন্তু টেস্টের শেষ ইনিংস আর উইকে'টের আচরণের বিচারে তা বেশ বড়সড়ই দেখায়। রান তাড়ায় এসব উইকে'টে অ্যাপ্রোচ খুব গু'রুত্বপূর্ণ। ধরে খেলে লম্বা সময় টিকে থাকা মুশকিল। তামিম সেটা বুঝেই হয়ত নিয়েছিলেন ইতিবাচক ধরণ। একশোর উপর স্ট্রাইকরেট বলেছে প্রয়োজনের চেয়েও একটু বেশি ইতিবাচক দেখা গেছে তাকে।
সৌম্যকে এক পাশে রেখে তামিম দ্রুত বাড়াতে থাকেন রান। দুই পেসার আলজেরি জোসেফ, শ্যানন গ্যব্রিয়েল আর স্পিনার জোমেল ওয়ারিকন দিয়েছেন প্রচুর আলগা বল। যার ফল তুলে বাংলাদেশকে উড়ন্ত শুরু পাইয়ে দেন তামিম। প্রথম ১২ ওভারে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৫৯! এক পাশে রাহকিম কর্নওয়ালকে রেখে তাই অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট নিজেই বল হাতে নেন।
সেই ফাটকাই কাজে লাগে তার। ১৩তম ওভারে নিতে এসেই নেন উইকেট। সৌম্য কাট করতে গিয়েছিলেন। আউটসাইড এজ হয়ে বল কিপারের গ্ল্যাভসে লেগে যায় স্লিপ ফিল্ডারের হাতে। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরার পথ দেখায় উইন্ডিজ। টেস্টে ৭ ইনিংস ও দুই বছর পর ফিফটি পাওয়া তামিম এরপরই শেষ। শর্ট মিড অফের হাতে যায় তার লফটেড ড্রাইভ। ৪৬ বলে ৯ চারে ৫০ করে যান তিনি।
তিনে নেমে পুরো সিরিজে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরাতে পারেননি ছন্দ। চা-বিরতির ঠিক আগে শর্ট লেগে যায় তার ক্যাচ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারি কর্নওয়াল তাকে আউট করেই খুলেন উইকে'টের খাতা। এরপর একে একে আরো তিন উইকেট নেন কর্নওয়াল। ফেরান মিথুন, লিটন ও তাইজুলকে। অন্যদিকে এরই মাঝে দুর্দান্ত স্পিনে মমিনুল-মুশফিককে ফিরিয়ে দেন ওয়ারিকান।
১৮৮ রানে ৯ উইকেট পড়ার পরও লড়াই চালিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। একটা সময় তার ব্যাটে জয়ের আশাও দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অবিশ্বা'স সেই কাজটা করতে পারেননি মিরাজ। দিনের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ওয়ারিকানের ঘূর্নিতে পরাস্তা হয়ে স্লিপে তুলে দেন ক্যাচ, আর বিশাল দে'হী কর্নওয়াল তালুব'ন্দি করেই মেতে উঠেন জয়ের আনন্দে। অ'পরদিকে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিলোনা মিরাজের।