১৮ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। সাদা বলের ক্রিকে'টের ব্যস্ত সূচির মাঝে লাল বলের ক্রিকে'টে এমন অর্জনে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ক্রিকে'টের এই লম্বা ফরম্যাটে সাফল্য ধরে রাখতে এবং তরুণ ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকে'টের প্রতি উৎসাহ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ'ক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পিসিবি।
টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ এসব পদ'ক্ষেপের ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকে'টের ভিড়ে টেস্ট ক্রিকে'টের প্রতি ক্রিকেটারদের বাড়তে থাকা অনীহাও দূর হবে বলে ধারণা করছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মো হা'ম্ম'দ ওয়াসিম।
এই বি'ষয়ে মো হা'ম্ম'দ ওয়াসিম বলেন, ‘এটা শুধু পাকিস্তানের নয় বরং অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দলগু'লোরও সমস্যা। সাদা বলের ক্রিকেট এত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে যে লাল বলের ক্রিকে'টে আর আগ্রহ খুঁজে পায় না উঠতি ক্রিকেটাররা।
আর এ জন্য পাকিস্তান টেস্ট দলে উন্নতি আনতে কিছু পদ'ক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পিসিবি। টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ এই সব পদ'ক্ষেপের ফলে টেস্ট ক্রিকে'টের প্রতি আবারও আগ্রহী হবে তরুণ ক্রিকেটাররা।
টেস্ট ক্রিকেটারদের বর্ধিত পারিশ্রমিকের পরিমাণ কি হবে তা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। এই ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক ক্রিকেটারদের স'ঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কথাও বলেছেন যাতে সাদা বল আর লাল বলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যবধান না থাকে।
সাবেক এই ক্রিকেটার আরো বলেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকে'টের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেট খুবই সীমিত। তাই টেস্ট ক্রিকেটারদের অর্থ উপার্জনের সুযোগটাও কম। টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যেন বাড়ানো হয় সেই বি'ষয় নিয়ে কাজ করছে ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যে বেশকিছু টেস্ট খেলুড়ে দেশ এসব পদ'ক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে এবং সুফলও পেতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, শীর্ষ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা যদি ২০-২৫ দিনের কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে তাহলে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ৬০ লাখ পাকিস্তানি রূপি) পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। যেখানে একই সময় ব্যবধানে তিন বা চার টেস্টের সিরিজ খেললে এসব ক্রিকেটাররা পায় মাত্র সাড়ে ৩০ থেকে ৪০ লাখ পাকিস্তানি রূপি। অর্থাৎ চার ভাগের এক ভাগ।