বৃহস্পতিবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে যখন বল করছে বাংলাদেশ, ঠিক সেই সময় অনেকটা নীরবেই বিসিবির একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছিলেন দুই ক্রিকেটার। দুজনেই প্রস্তুত হচ্ছেন সীমিত ওভারের ক্রিকে'টের জন্য। একজন হলেন টাইগারদের অ'ভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যজন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেললেও টেস্ট দলে নেই মাহমুদউল্লাহ। অন্যদিকে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকলেও, একাদশে জায়গা হয়নি শরিফুলের। কারণ কম অ'ভিজ্ঞতা। সদ্য সমাপ্ত এই সিরিজের স্মৃ'তিকে পেছনে ফেলে আপাতত সামনের দিকে নজর এই দুই ক্রিকেটারের। আপাতত ব্যস্ত সময় পার করছেন নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে।
বৃহস্পতিবার একাডেমি মাঠের ১৯ নম্বর পিচে ব্যাট হাতে নিজেকে ঝালাতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। আর তাকে স'ঙ্গ দিয়ে বল হাতে নিজেকে শান দেন শরিফুল। অনেকটা সময় রিয়াদকে বোলিং করেন তিনি। এরইমাঝে রিয়াদের টিপসও মেলে পঞ্চগড়ের এই স্বপ্নবাজের।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার শরিফুলের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরটি 'হতে পারে বড় সুযোগ। একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভবনাও কম নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সাউথ আফ্রিকা,নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে খেলার অ'ভিজ্ঞা রয়েছে তার। কিউই যুবাদের স'ঙ্গে ওদেরই মাটিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন শরিফুল। তাই এদিক দিয়ে চিন্তা করলে নিউজিল্যান্ডে শরিফুলের অ'ভিষেক হয়েও যেতে পারে।
চলমান ক্যারিবী সিরিজে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শরিফুল। খেলতে না পারলেও সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে মিলেছে অনেক পরা মর'্শ। এমনকি অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকেও মিলেছে অনেক মূল্যবান বার্তা।
বিডিক্রিকটাইমকে শরিফুল বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ ভাই আমাকে দেখে বলল যে নিউজিল্যান্ডে লাইন এবং লেন্থ খুব গু'রুত্বপূর্ণ, ওখানে ট্রু উইকে'টে আউট সাইড অব-অফ স্ট্যাম্প ওয়াইড হলেই বাউন্ডারি হবে, আউটফিল্ড ফাস্ট। প্রতিটা বল মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। তামিম ভাইও ভাল পরা মর'্শ দেয়। রিয়াদ ভাই আর তামিম ভাই একই পরা মর'্শ দেয়। চট্টগ্রামে সবারে স'ঙ্গে ছিলাম সাকিব ভাই নেটে বলেছিল ভাল হচ্ছে চালিয়ে যেতে বলেছে ফিটনেসের দিকে নজর দিতে বলেছে।’
তাছাড়া বোলিং কোচ ওটিস গিবসনও তাকে নিয়ে আলাদা করে কাজ করছেন বলে জানালেন শরিফুল। পাশাপাশি সিনিয়র পেসারদের কাজ থেকেও যথেষ্ঠ সহযোগীতা পেয়ে আসছেন বাঁহাতি এই পেসার। তিনি আরও জানান,
‘বোলিং কোচ গিবসন সিম নিয়ে আর সুইং নিয়ে কাজ করেছে তো ওটা নিয়ে আরও কাজ করতে বলেছে। নেটে লাই লেন্থ ঠিক রেখে ইন-সুইং করার চেষ্টা করছি। সিনিয়র ভাইরা মুস্তাফিজ ভাই, রুবেল ভাই অ'ভিজ্ঞ বোলার,সাইফউদ্দিন ভাই, তাসকিন ভাই সবার কাছেই কিছুনা কিছু শিখছি।’
বর্তমানে বেশ সমৃ'দ্ধ বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং ইউনিট। সিনিয়র-জুনিয়রদের নিয়ে বেশ ভালো বোলার রয়েছে দলে। তাই শরিফুলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ কাজ করবে। তবে তরুণ এই পেসার এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
শরিফুল বলেন,‘যখন থকে ক্রিকেট শুরু করেছি তখন থেকেই প্রতিযোগীতা ছিল। বয়স ভিত্তিক ক্রিকে'টে বলেন,অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ বলেন প্রিমিয়ার লিগ বলেন। যত প্রতিযোগীতা হয় ততো নিজের প্রতি আ'ত্মবিশ্বা'স বাড়ে যে আমাকে যে ভাবেই হোক একজনকে হারিয়ে খেলতে হবে।
প্রতিযোগিতা হলে আরও ভালো তখন নিজের মধ্যে কোনো আ'ত্মতৃপ্তি কাজ করে না ভালো করার আগ্রহ বাড়বে কারণ একজন প্রতিযোগী আছে, এটা খুই ইতিবাচক।আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে হয়তো দলের স'ঙ্গে থাকবেন শরিফুল। তাই দেখার অ'পেক্ষা সুযোগ সদ্ব্যবহার কতটুকু করেন তরুণ এই বোলার।