নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন থার্ড আম্পায়াররা। ফ্রন্ট ফুট নো বলের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়াররা নন, ভিডিও ফুটেজ দেখে সি'দ্ধান্ত নিচ্ছেন তৃতীয় আম্পায়ার। ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই অ'ভিনব এই নিয়ম চালু করেছে আইসিসি।
প্রতিনিয়ত আরও আধুনিক হচ্ছে ক্রিকেট। বদলে যাচ্ছে পুরোনো নিয়ম। অনফিল্ড আম্পায়ারদের উপর থেকে চাপ কমাতেই এই সি'দ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি, যাতে মাঠের সি'দ্ধান্তগু'লো আরও নিখুঁত করে দিতে পারেন আম্পায়াররা।
একজন আম্পায়ারের ক্ষেত্রে নো বলের ফিফটি-ফিফটি কল গু'লো জানানো সম্ভব 'হতো না। ফলে যে কোন একদল সুবিধা পেয়ে যাচ্ছিলো নো বলের সি'দ্ধান্তে। তবে নতুন এই নিয়ম চালু হবার পর বেড়েছে নো বলের সংখ্যা। কমেছে ভুক্তভুগী সি'দ্ধান্তের পরিমাণ।
পরিসংখ্যান বলছে টেস্ট ক্রিকে'টে এই নিয়ম চলু হবার পর (২০২০ এর আগষ্ট থেকে) অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ১৯টি টেস্ট ম্যাচ। যাতে বল করা হয়েছে ৩৬ হজার ১ শত ৭৭ টি+। নো বল করা হয়েছে মোট ২৬০ টি। অর্থাৎ একজন বোলার প্রতি ১৩৯ বলে করেছেন একটি করে নো বল। প্রায় ৬ হাজার ওভারের মাঝে নো বলই হয়েছে ৪৩.৩৩ ওভার। যা কিনা প্রায় একটি একদিনের ম্যাচের এক ইনিংসের সমান।
যদি নতুন এই নিয়ম চালুর আগের ১৯ ম্যাচের হিসেব করা হয়, তাহলে পরিসংখ্যান দাঁড়ায়- এই ১৯ ম্যাচে মোট বল হয়েছে ৩৬ হাজার ১শত ২৯ টি। যাতে নো বল হয়েছে মাত্র ১০১ টি। অর্থাৎ একজন বোলার প্রতি ৩৫৭ বলে করেছেন একটি করে নো বল। প্রায় ৬ হাজার ওভারের মাঝে নো বল হয়েছে মাত্র ১৬.৮৩ ওভার। যা একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এক ইনিংসেরও সমান না।
তারমানে আইসিসির নতুন এই নিয়মে নো বলের পরিমান বেড়েছে প্রায় আড়াইগু'ন। নো বল বেড়েছে মানে কিন্তু এই না যে, এই সময়ে রাতারাতি বোলাররা নো বল করা বাড়িয়ে দিয়েছেন। বরং নিখুত পর্যবেক্ষণের কারণে নো বল ধ’রা পড়ার পরিমাণ বেড়েছে। যেটি আগে সম্ভব 'হতো না। বলার অ'পেক্ষা রাখে না যে একজন আম্পায়ারের দ্বারা এতকিছু নজর রাখা সম্ভব 'হতো না। ফলে নিখুঁত ভাবে ম্যাচও পরিচালনা করাও সম্ভব 'হতো না। যেটি এখন সম্ভব হয়েছে।
আইসিসি নিয়মটা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছিল। ফলাফল ইতিবাচক হলে নিয়মটি চালিয়ে যাব'ে বলে জানানো হয়েছিল আইসিসির তরফ থেকে। এখন পর্যন্ত ফলাফল যা বলছে, নতুন এই নিয়মে সুফল পাচ্ছেন তারা। ফলে নিয়মটা যে থেকেই যাচ্ছে তা কিন্তু বলাই যায়।