চট্টগ্রাম টেস্টে বলতে গেলে এক কাইল মেয়ার্সের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তাঁর অবি'ষ্ মর'ণীয় ২১০ রানের ইনিংসের সুবাদে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকে'টে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মেয়ার্স আজ মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাটিংয়ে নামা'র পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠেছিল? তেমন কিছু হয়ে থাকলে আবু জায়েদকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন মুমিনুল। মেয়ার্সকে যে মাত্র ১৮ বল টিকতে দিয়েছেন আবু জায়েদ।
মেয়ার্সকে ড্রাইভ করাতে সামনে টেনে এনেছিলেন আবু জায়েদ। বলটা একটু বের হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে পুরোপুরি পাননি। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী হয়। বেশ ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৪ উইকে'টে ১৪৬ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করছেন এনক্রুমা বোনার (৩০) ও জার্মেইন ব্ল্যা'কউড (১৮)।
তিন স্পিনার, এক পেসার ও এক মিডিয়াম পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যদিও পেসার আবু জায়েদের গতির স'ঙ্গে মিডিয়াম পেসার সৌম্যর গতির বড় কোনো পার্থক্য নেই।
সকালের সেশনে শুধু জন ক্যাম্পবেলের উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২১তম ওভারে গিয়ে ক্যাম্পবেলকে (৩৬) এলবিডব্লুর ফাঁ'দে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল
ইসলাম।
যদিও ক্যাম্পবেল আউট হয়েছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দে'হ আছে। টিভি আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের আউটের সি'দ্ধান্তে একমত হলেও আল্ট্রাএজে সামান্য রেখা দেখা গেছে। তবে সেটা যে কোনোকিছুরই 'হতে পারে।
তার আগে বাংলাদেশের বোলারদের সহজেই খেলছিলেন দুই ওপেনার। ২০তম ওভার পর্যন্তও গড়ে ৩.৩০ করে রানরেট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ততক্ষণে পাঁচ বোলারকেই ব্যবহার করেছেন মুমিনুল। সে সময় পরিকল্পনাহীন মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। এ সময় একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ক্যাম্পবেল।
তবে দ্বিতীয় সেশনে ভালোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ সময় ২৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন বোলাররা। প্রথম সেশনে ১ উইকেট নেওয়ার বিনিময়ে ২৯ ওভারে ৮৪ রান দেন তাইজুল–আবু জায়েদরা।
মধ্যাহৃভোজন বিরতির পর পঞ্চম ওভারে আবু জায়েদের বল স্টাম্পে টেনে আনেন শেন মোজলি (৭)। এরপর পথের কাঁটা হয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ও ওপেনার ক্রেগ ব্রাফেটকে তুলে নেন সৌম্য সরকার।
১২২ বলে ৪৭ রান নিয়ে উইকে'টে জেঁকে বসেছিলেন ব্রাফেট। তাঁকে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী করেন সৌম্য। ক্যাম্পবেল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ পরের ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছে ৫০ রানে, ২৭.১ ওভারের মধ্যে।
সকালের সেশনে ক্যাম্পবেলকে তুলে নেন তাইজুল
পঞ্চম উইকে'টে ব্ল্যা'কউডের স'ঙ্গে ৬১ বলে ৩০ রানের অবিচ্ ছিন'্ন জুটি গড়েছেন বোনার। চট্টগ্রাম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ২৪৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছিলেন তিনি।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ–ই সবচেয়ে সফল বোলার। ১৫ ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট তাইজুল ও সৌম্যর।