খেলতে নামলে সমালোচনায় পড়তেই হবে, মেনে নিচ্ছেন পাকিস্তানের গতিতারকা হাসান আলি। কিন্তু এই সমালোচনাটাকে ক্রিকে'টের মধ্যে না রেখে ব্যক্তিগত আ'ক্রমণ বানানোর ব্যাপারটাকে সহজভাবে নিতে পারছেন না তিনি।
সমালোচকদের রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি এই পেসার। হাসান আলির উদযাপনটা একটু অন্য ধরনের। উইকেট পাওয়ার পর দুই হাত আড়াআড়ি করে এনে অনেক জোরে ওপরের দিকে তুলেন এই পেসার। যার জন্য একবার কাঁধের চোটে পড়েছিলেন।
স্বভাবতই হাসান আলির ফর্ম পড়ে যাওয়ায় সমালোচকরা ওই বাড়তি উদযাপনের বি'ষয়টিকে সামনে টেনে আনেন বারবার। এমনকি তার বিয়ে নিয়েও অনেক রকম কথাবার্তা আছে। ভারতীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন হাসান আলি। আর বিয়ের পরপরই তার ফর্মে ঘাটতি দেখা যায়। কিছু কিছু সমালোচকের মতে, বিয়ের কারণেই খেলার থেকে মনোযোগ সরে গেছে হাসানের, তাই আগের মতো পারফর্ম করতে পারছেন না।
পাকিস্তানের একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান আলী বলেন, লোকে বলে- আমি নাকি বিয়ের কারণে ক্রিকে'টে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। উদযাপন করে ইচ্ছা করে চোটে পড়ছি। হাস্যকর সব কথা। আমি জানাতে চাই- ওই লোকগু'লোর কোনো ধারণাও নেই, ক্রিকেটারদের কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে যেতে হয় এবং ক্যারিয়ারে কতটা ওঠা-নামা থাকে।
তিনি আরও বলেন, এ পৃথিবীতে দুই ধরনের লোক আছে। কেউ দুঃসময়ে পাশে থাকে, কেউ স্রেফ সমালোচনাই করে যায়। ক্রিকে'টে সমালোচকদের আমি সবসময় স্বাগত জানাই। এতে নিজের পারফরম্যান্স বি'ষয়ে জাগ্রত থাকা যায়। কিন্তু অনেকে সেই সমালোচনার গণ্ডি মাঠ পেরিয়ে ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন। আমি বুঝি না, ব্যক্তিগত জীবনকে কেন সমালোচনার লক্ষ্য বানানো হয়!
এরপরও তো কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েছেন সে প্রশ্নে হাসান বলেন, ওয়ার্কলোড অনেক বেশি হওয়াতেই এটা হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অ'ভিষেকের পর থেকেই টানা খেলার মধ্যে ছিলাম আমি। পাকিস্তানের হয়ে ৩ সংস্করণে খেলে যাচ্ছিলাম। কয়েকটি লিগেও খেলছিলাম পাশাপাশি। বিশ্রাম নিতেই পারছিলাম না । ম্যাচ বা ক্যাম্পের মাঝে তাই রিকভারির সময় ততটা পাইনি।
এরপর হাসানের পাল্টা প্রশ্ন, ফাস্ট বোলাররাও মানুষ। তারা তো মেশিন নয়। আ মর'া কেবল বোলিং করেই যাব' এবং দিনের পর দিন ফিট থাকব, এতটা আশা করা উচিত?